Trinamool Congress: তৃণমূলের মদতে মালদায় নদী থেকে অবাধে চলছে বালি পাচার!
চলছে বালি পাচার, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (ইনসেটে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুলহর নদী থেকে বালি খনন করা হচ্ছে। প্রায় ৮-১০ ফিট গর্ত করে বালি খনন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পাশেই রয়েছে আর্সেনিক জলের প্লান্ট এবং নদী বাঁধ। দুটোই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর ঘাটে। আর এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রাজু সিংহ নামে এক তৃণমূল নেতার।
জানা যাচ্ছে, রাজু সিংহ নামে ওই তৃণমূল নেতা রতুয়া-১ ব্লক (Malda) তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। মূলত তাঁর মদতেই নদীর বুক থেকে খনন করা হচ্ছিল বালি। সেই বালি ট্র্যাক্টরে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, "বিগত কয়েকদিন ধরে ফুলহর নদী থেকে বালি খনন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তৃণমূল নেতা রাজু সিংহ ট্রলি পিছু ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন। তৃণমূলের মদত থাকার কারণে প্রশাসন কিছু করে না।
আরও পড়ুন: অর্জুনের খাসতালুকে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল
অভিযোগ অস্বীকার করে রতুয়া-১ ব্লক (Malda) তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাজু সিংহ বলেন, "আমাদের কাহালা আসুটোলা থেকে বাহারাল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ফুলহর নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি জমে যায়। এর ফলে জমির মালিকরা চাষবাস করতে পারে না। সেই জমির ওপরের বালি অংশটা তাঁদেরকে কেটে ফেলতে হয়। এই পথশ্রী প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জমির মালিকের কাছে ন্যায্যমূল্য এবং সরকারি খাজনা কেটে বালি কিনে নিচ্ছেন। আর আমি কোনও টাকা নিইনি। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।"
রতুয়া-১ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সৌমিত্র কুমার বলেন, "মাটি কাটার পূর্বে নির্ধারিত একদিন আগে ভূমি ও ভূমি দফতরে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে জমির মালিকের সম্মতিপত্র এবং যেখান থেকে মাটি তোলা হবে এবং যেখানে মাটি ফেলা হবে উক্ত জমির কাগজপত্র। এখন অনলাইনের মাধ্যমে চালান কাটতে হয়। তবে আমাদের কাছে বালি কাটার জন্য কাহালা অঞ্চল থেকে কোনও আবেদন জম পড়েনি। নদী, ব্রিজ এবং বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে কোনওমতেই বালি এবং মাটি খনন করা যাবে না। এটা আইনত অপরাধ। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।