রানাঘাটে প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেছে জানেন?
রাস্তায় সিভিকদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের গন্ডগোল হওয়ার আগে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম সরকারি জায়গায় দলীয় পার্টি অফিস করে নিজের দাপট দেখিয়েছিলেন। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায়নি। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এবার কল্যাণীর এক তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদাগিরি দেখলেন রানাঘাটবাসী (Ranaghat)। প্রকাশ্যে রাস্তায় কর্তব্যরত তিন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। যদিও এই পালোয়ানগিরি দেখিয়ে খুব বেশিক্ষণ তৃণমূল কাউন্সিলারের হিরোগিরি চলেনি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত কাউন্সিলারকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সিভিকদের কাজে বাধা দেওয়া ও মারধর করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কল্যাণী পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লক্ষ্মী ওরাওঁ গাড়ি করে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরসঙ্গে আরও দু-তিন জন ছিলেন। রানাঘাটের (Ranaghat) মিশন গেটের কাছে তাঁদের গাড়ি আসার সময় যানজট ছিল রাস্তায়। দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদের গাড়ি দাঁড় করাতেই প্রথমে রঞ্জিৎ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী গাড়ি থেকে বেরিয়ে গালাগালি শুরু করেন বলে অভিযোগ। শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। এরপরই সিভিকদের প্রকাশ্যেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ তৃণমূল কাউন্সিলার সহ চারজনকে গ্রেফতার করে।
আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বক্তব্য, আমরা রাস্তায় ডিউটিতে ছিলাম। রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকায় তা মুক্ত করার কাজ করছিলাম। ওই সময় ওই গাড়িটি যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা সেটা আটকেছিলাম। এটাই আমাদের অপরাধ। তার জন্য প্রকাশ্যে তারা গাড়ি থেকে আমাদের মারধর করে কাউন্সিলার এবং তাঁর সঙ্গীরা। এ নিয়ে রানাঘাট (Ranaghat) থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।