শাহজাহান গ্রেফতার হতেই কী ব্যবস্থা নিল তৃণমূল?
শাহজাহান (বাঁদিকে), ব্রাত্য বসু (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর তা তাঁকে জামাই আদর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সন্দেশখালির মহিলারা। এবার শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ করা হয়েছিল তাঁকে। এতদিন ধরে ফেরার থাকার সময় দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু, গ্রেফতার হওয়ার পর ঘটনা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে,তাঁকে দল থেকে শুধু নয়, জেলা পরিষদের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ লোক দেখানো বলেই সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা চলছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বলেন, দল থেকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হত কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও। সেই মতোই কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি থেকে জেলা পরিষদের আসনে জিতে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ হন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মূলত তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। বুধবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে আজ তাঁকে ছয় বছরের জন্য সাসপেনশনের কথা জানিয়ে দেয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার তাঁকে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মুহূর্তে গ্রেফতার হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনও পদে থাকছেন না সন্দেশখালির দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান।
সন্দেশখালিবাসীর বক্তব্য, তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে ও এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছি। লোকদেখানো সাসপেন্ড করে লাভ নেই। শাহজাহানের কড়া শাস্তি দিতে হবে। দল পাশে আছে বলেই পুলিশও তাঁর কোমরে দড়ি পড়াতে পারছে না। তাঁর গায়ে স্পর্শ করতে পারছে না। পুলিশি হেফাজতে ও জামাই আদরের মতো থাকবে। শাহজাহান এলাকায় যা অত্যাচার করেছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।