জলপথেও একাধিক দুর্নীতি তৃণমূলের! হাওড়ায় শোরগোল
হাওড়ার এই লঞ্চ পরিষেবা নিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক ও কৃষি সমবায় সমিতিগুলিতে দুর্নীতির (Corruption) পর এবার হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এর পাশাপাশি সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, লঞ্চগুলি দীর্ঘদিন ভালোভাবে মেরামতি না হওয়ার কারণে যাত্রীরা প্রতিদিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন। এমনকী লাইসেন্স বিহীন বেশ কিছু লঞ্চ চলাচলেরও অভিযোগ উঠেছে। উত্তর হাওড়ার বিজেপি নেতা উমেশ রাই সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন।
অব্যবস্থা ও আর্থিক দুর্নীতি (Corruption) নিয়ে সরব কর্মীরাও
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায় তৃণমূল পরিচালিত হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। ওই সংস্থা হাওড়া থেকে প্রতিদিন শোভাবাজার, বাগবাজার, চাঁদপাল, ফেয়ারলি প্লেস এবং বাবুঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায়। হাজার হাজার নিত্যযাত্রী হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করেন। আগে এই সংস্থায় কুড়িটির বেশি লঞ্চ চললেও বর্তমানে বারোটি লঞ্চ চলছে। ফলে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যতগুলি ট্রিপ হত, এখন তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক ট্রিপ হচ্ছে। কর্মীরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ লঞ্চের অবস্থা ভালো নয়। দীর্ঘদিন ঠিকঠাক মেরামতি না হওয়ার কারণে সেগুলি ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সংস্থার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে সেগুলিকে ঠিকমতো সারানো যাচ্ছে না। ফলে লঞ্চের কর্মীরা ছাড়াও যাত্রীরা প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও তাঁরা জানান, তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। কোনও আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। সংস্থার একাধিক আর্থিক দুর্নীতি (Corruption) নিয়েও সরব হন কর্মীরা।
কী অভিযোগ (Corruption) করল বিজেপি?
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, একাধিক লঞ্চের অবস্থা শোচনীয়। ওই অবস্থায় লঞ্চগুলি চালানো হচ্ছে। টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বাবদ সংগৃহীত অর্থ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। যদি রাজ্য সমবায় দফতর কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাঁরা কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।
তদন্তের (Corruption) আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী
রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, ওই সংস্থাকে বাঁচাতে তাঁর দফতর থেকে আগে ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে যে অভিযোগ উঠছে, তা অত্যন্ত সিরিয়াস। তিনি এ ব্যাপারে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হবে। পুরো বিষয়টি (Corruption) তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।