কার্জন গেট নিয়ে এ কী বললেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী?
কার্জন গেট, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বর্ধমানের (Burdwan) কার্জন গেট চত্বরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বর্ধমানে (Burdwan) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাড়়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের বোঝান। ১২ বছর আগে কী ছিল রাজ্যে। কার্জন গেট দেখিয়ে বলেন, ছিল এই গেট? ছিল এই আলো, ছিল এই ধপধপে রাস্তা? যদিও নেত্রী বক্তব্য রাখার সময় এক দলীয় স্থানীয় নেতা তাঁর কাছে এসে কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করেন। সম্ভবত, তিনি কার্জন গেট সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছেন তা ঠিক নয়, সেই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যুব সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকেন। যদিও নেত্রী এই বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই হাসাহাসি শুরু করে দেন।
বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে, বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে জিটি রোড এবং বিসি রোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটি 'কার্জন গেট' নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী যুগে, এর নামকরণ করা হয়েছিল 'বিজয় তোরণ'। তোরণ বানানোর দায়িত্বে ছিল ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’ কোম্পানি। বার্ন কোম্পানিতে সেই সময় বহু বিদেশি স্থপতি, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেন। ১৯০৩ সালে ছোটলাট লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বোর্ডিলিয়ন সাহেবের উপস্থিতিতে বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেক ঘটে। সেই বছরেই তোরণের পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু। পরের বছর ১৯০৪-এ বর্ধমান পরিদর্শনে আসেন লর্ড কার্জন। স্টার গেট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারোদঘাটন করে, সেই পথ দিয়েই তাঁর শহরে প্রবেশ। পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বিজয়চাঁদ গেটের নাম বদলে ‘কার্জন গেট’ রাখেন।
আগে ইতিহাস জানুন তারপর মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেবেন, কটাক্ষ বিরোধীদের। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলেন সায়নী ঘোষ। কার্জন গেট যখন তৈরি হয়, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয়নি। সিপিএম নেতা দীপঙ্কর দে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গীতজ্ঞ, ভালো ছবি আঁকেন বলে জানতাম। তিনি কার্জন গেটের প্রতিষ্ঠাতা জানা ছিল না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।