মতুয়া মেলা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ উঠল?
মমতাবালা ঠাকুর (বাঁদিকে), শান্তুনু ঠাকুর (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ঠাকুরনগরে শুরু হচ্ছে মতুয়াদের বারুনির মেলা। আর এই মেলার রাশ রয়েছে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের হাতে। তাই, ভোটের মুখে এই মেলা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। মেলায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করেছেন মমতাবালা ঠাকুর। আর পালটা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।
আগামী ৬ এপ্রিল থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ঠাকুরনগরে এই মেলা শুরু হচ্ছে। এই মেলা বসে ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে। বহু বছরের পুরানো এই মেলা শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। তবে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই মেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল তৃণমূলের হাতেই। তবে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির সাংসদ হওয়ার পর তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ খর্ব হয়। শুধু জেলা থেকেই নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকেও এই মেলা দেখতে আসেন বহু মানুষ। তবে গত কয়েক বছর ধরে এই মেলা নিয়ে তরজা লেগেই আছে। সে ক্ষেত্রে মেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখাকে কেন্দ্র করেই মমতাবালার সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তরজা চলে আসছে। শোনা যাচ্ছে, মমতাবালা ঠাকুর এই মেলায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য বনগাঁর এসডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এটা তৃণমূলের তরফে করা হয়নি। তিনি নিজেই এই আবেদন করেছেন। মেলা ঘিরে ঠাকুরবাড়ির অন্দরের দ্বন্দ্ব আরও জোরদার হয়েছে। বনগাঁর এসডিও উর্মি দে বিশ্বাস বলেন, এবিষয়ে পুলিশকে তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব মোদী, দিলেন টাকার ফেরানোর প্রতিশ্রুতি
বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, মতুয়াদের ধর্মীয় ভাগাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে এই মেলা হয়ে থাকে। কিন্তু, প্রতিহিংসা করে এই মেলা বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে মানুষের জবাব দেবে। অন্যদিকে, মমতাবালা ঠাকুর বলেন, গত ১০ বছর ধরে এই মেলার প্রশাসনের অনুমতি আমি পাচ্ছি। অথচ আমি মেলায় ঢুকতে পারি না। শান্তনু ঠাকুর মেলার মাঠে গিয়ে বসে থাকেন। এছাড়া দুষ্কৃতীরা মেলার মাঠে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন। সেই কারণে তিনি ১৪৪ ধারা জারির আবেদন জানিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।