img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

South 24 Parganas: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দিতে হচ্ছে 'কাটমানি', অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এ কী অভিযোগ?

img

তৃণমূল নেতার নামে দেওয়া অভিযোগপত্র (বাঁদিকে), শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েত (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)

  2024-03-13 13:36:08

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা পাঠাতে শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। জবকার্ড উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রাপ্য টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। এবার সেই টাকা থেকেও 'কাটমানি' চাওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার  উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ- প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অসিত হালদার। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত।

ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আফসানা বিবির জবকার্ড রয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পরই তাঁর কাছে কাটমানি চাওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর স্বামী ইসরাফিল মোল্লার। তাঁর অভিযোগ, শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুমনা হালদারের স্বামী তৃণমূল নেতা অসিত হালদারের বিরুদ্ধে। ইসরাফিল স্থানীয় উস্তি থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের পাঠানো ৩২৬৪ টাকা জমা পড়ার পরই ২ হাজার টাকা চান উপপ্রধানের স্বামী অসিত হালদার। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর ও প্রাণে মারার হুমকি দেন অসিত। পুলিশের কাছে যথাযথ নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছি। কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি জব কার্ড হোল্ডারের তালিকায় ওই তৃণমূল নেতার এবং উপ প্রধানের নাম রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন: 'রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ", বললেন জগন্নাথ সরকার

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অসিত হালদার বলেন, যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে ছিল আমি শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নিজের পকেট থেকে ধার দিয়েছি। এখন রাজ্য সরকার সেই টাকা জব কার্ড হোল্ডারদের দেওয়ায় আমার পাওনা টাকাই চেয়েছি। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। একইসঙ্গে দলের স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছি আমরা। জবকার্ডে নাম নিয়ে তিনি বলেন, তালিকা তৈরির সময় আমার স্ত্রী উপপ্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন পঞ্চায়েতের একজন সাধারণ সদস্য মাত্র। তাই তখন থেকেই আমাদের নামেও জব কার্ড রয়েছে। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। এ বিষয়ে মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান বলেন, "যদি ওই উপপ্রধানের স্বামী অন্যায় কিছু করে থাকেন তবে দল নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে না"।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

tmc

Trinamool Congress

South 24 Parganas

West Bengal

bangla news

Bengali news

mograhat

gram panchyat


আরও খবর


ছবিতে খবর