হাওড়ায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এ কী অভিযোগ?
দমোদরের চর দখল করে পাঁচিল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়়ে নিয়োগ দুর্নীতি, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। এবার দামোদরের চর বিক্রিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুর-২ ব্লকের বাড়গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) শ্যামপুরে দামোদরের ওই চরটি দীর্ঘদিন স্থানীয় মণ্ডল পরিবারের দখলে ছিল। ওই পরিবারের সদস্য, পেশায় শিক্ষক পরিমল মণ্ডলের বক্তব্য, পূর্বপুরুষেরা চর দখল করেছিলেন। বর্তমানে বেদখল হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক দাসকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। দীপক কী করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। ওই জমিতেই পাঁচিল গাঁথা হচ্ছে। সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যিনি পাঁচিল দিচ্ছেন, সেই মুসিয়ার রহমান মোল্লা ওরফে সাহেব বলেন, তৃণমূল নেতা দীপক দাসের থেকে ওই জায়গা আমি কিনেছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যে ভাবে দামোদরের চর দখল হয়ে যাচ্ছে, যেখান সেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, বালি তোলা হচ্ছে - আগামী দিনে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। এই সব অনিয়ম-বেনিয়মে শাসকদলের নেতারা জড়িত। তারা চর বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই, ভয়ে কেউ কোনও কথা বলতে পারছে না।
তৃণমূল নেতা দীপক দাস বলেন, 'দামোদরের চর কেনাবেচার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। পরিমল মণ্ডল ও তাঁর ভাইয়েরা চর দীর্ঘ দিন দখল করেছিলেন। পরে তাঁরা চরটি মুসিয়ারকে বিক্রি করেন। চরে অসামাজিক কাজ চলছিল। গাঁজার ঠেক বসত। পরিমলদের থেকে চর কিনেও মুসিয়ার দখল নিতে পারছিলেন না। তখন এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। আমি পুলিশকে বলে গাঁজার ঠেক তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। চর কেনাবেচা নিয়ে যা করেছেন, পরিমল ও মুসিয়ার রহমান মোল্লা। আমি কোনওভাবে জড়িত নয়।'
হাওড়া (Howrah) জেলা সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। পাঁচিল ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।