Keshpur: কেশপুর নিয়ে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হিরণ, কী বললেন?
হিরণ চট্টোপাধ্যায় (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের দিন কেশপুরে দফায় দফায় তৃণমূলীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। বহু বুথে তাঁকে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বিজেপির এজেন্টও ছিল না বহু বুথে। ভোট শেষে কেশপুরে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কেশপুরকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে কেশপুরের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হিরণ।
ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে ঘাটাল লোকসভার স্ট্রং রুম। সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, "কেশপুরের অন্তত ২০০ টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। সেই সব বুথে তৃণমূল ছাপ্পা মেরেছে। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কেশপুরের সেই সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। তৃণমূলের হাত ধরে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ভোটের লুঠের জন্য আমরা ফের ভোটের দাবি জানিয়েছিলাম। এবার আদালতের দ্বারস্থ হব।" জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ঘাটাল লোকসভা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী। বিজেপির বক্তব্য, দেবের এই লিডের সিংহভাগই জোগান দিয়েছিল কেশপুর। বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এবারেও কেশপুরের ভোটে সকাল থেকে তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে বুথের পর বুথে ভোট লুট করেছে। এবার সুবিচার চাইতে আদালতে যাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেশপুর থেকেই সিপিএম প্রার্থী প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। যা নিয়ে সে সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়
বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) আনা অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হয়েছে, তাতেও সন্ত্রাসের কথা বললে হাস্যকর!" যদিও ভোট শেষে জয় নিশ্চিত বুঝে দেব দলীয় কর্মীদের নিয়ে সবুজ আবিরও খেলেছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।