BJP: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাম, ফোন নম্বর নিচ্ছে তৃণমূল, কেন জানেন?
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির কারণে আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। আর তাতেই চরম ব্যাকফুটে পড়েছে তৃণমূল। কারণ, বহু উপভোক্তা টাকা না পাওয়ার কারণে বা়ড়ি তৈরি করতে পারেননি। ফলে, ভোটের মুখে ক্ষোভ বাড়ছে। আর তাই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নাম এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছে তৃণমূল। আর এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি।
বিগত বছরগুলিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সুন্দরবন বারবার আক্রান্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। গরিব মানুষের বাড়ির চাল উড়েছে। ভেঙে গিয়েছে বাড়ির দেওয়াল। সেই মানুষের মাথা গোঁজার জন্যে রাজ্য সরকার যে ত্রিপল দিয়েছে তা 'চুরি' করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেই। এমনকী সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও নয়- ছয় হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে সুন্দরবনের ভোটাররা যাতে তৃণমূলের থেকে মুখ না ফিরিয়ে নেয়, তাই আবাস যোজনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নাকি স্থানীয় নেতারা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর, মথুরাপুর এক নম্বর ও মথুরাপুর দু'নম্বর, কুলপি ব্লকের বহু বাসিন্দার আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকলেও তাঁরা টাকা পাননি। অনেকের আবার আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই সব নিয়ে চরমে উঠেছে দুর্নীতি। তৃণমূলের নীচুতলার নেতাদের বিরুদ্ধে সেই দুর্নীতির অভিযোগ। ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নাম এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছে তৃণমূল। আদতে এসব করে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানাবো।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার দিনই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কিশোরের, উড়ল হাত, শোরগোল
নির্বাচনের মুখে নতুন করে আবাসের বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেছে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, "আবাস যোজনার টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দিয়ে দেবে। মানুষকে তা জানানো হচ্ছে। এতে বিধি ভঙ্গের কিছু নেই।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।