মালদায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) পুখুরিয়া থানার শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাদেক আলি। বয়স ৫০ বছর। তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বিবি। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদেক আলির চায়ের দোকান আছে। মঙ্গলবার রাতে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন বলেন, রাতে তাঁদের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সকালবেলা ফের দু'লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। কিন্তু, আবার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সকাল এগারোটায় বাঁশবাগান থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত, মালদার (Malda) শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০টি। তৃণমূল ১২, সিপিএম ৫ এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়ী হয়। এরপর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সিপিএম ও কংগ্রেসকে নিয়ে বোর্ড গঠন করে। প্রধান হয় তৃণমূলের। এরপর থেকে প্রাক্তন প্রধানের স্বামী মহব্বত তাঁদের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। নেপথ্যে প্রধান গঠন নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর দিকে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী ওই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা আমাদের দলের ওই কর্মীকে খুন করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। যেই যুক্ত থাকুক, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।