Coochbehar: রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা ঠিক কতটা? উঠছে প্রশ্ন
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর লোকসভা ভোটের প্রথম চার দফা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম-এই তিন দফার ভোট। কিন্তু রাজ্যে এই ভোটের আবহের মধ্যেই এক মহিলাকে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হল। ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের সেই ঘটনায় (Tufanganj Incident) এবার ওই পুলিশ আধিকারিককে করা হল ক্লোজ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। নিগৃহীতা মহিলার বয়ান অনুযায়ী, পারিবারিক বিবাদের জন্য গত ৯ তারিখ বাড়িতে সালিশি সভা হয়। অভিযোগ, বচসা শুরু হতেই এই সালিশি সভার ভিতরেই এলাকার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির আলি তাঁকে মারধর করেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও নাকি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি তাঁর। নিগৃহীত মহিলা বলেন, “বাড়ির লোক মারল না। তৃণমূল নেতা মারল। আমি থানায় গেলেও পুলিশ কোনও কথা শোনেনি। আমার কেসও নেয়নি।” এরপর এই ঘটনার (Tufanganj Incident) প্রতিবাদে বিচার চেয়ে নাটাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের সামনে আন্দোলন শুরু করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযোগ এরপর প্রকাশ্যেই পুলিশের এক এসআই মহিলাকে তাঁর চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে পুলিশের গাড়িতে তোলেন।
এ প্রসঙ্গে সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা বঙ্গের সংস্কৃতীর সঙ্গে যায় না। মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই? তৃণমূল নেতারা আসবে, মারধর করবে। তারপর পুলিশ অভিযোগ করবে না।”
আরও পড়ুন: "সিএএ নিয়ে তৃণমূলের প্রচার ঠিক হলে আমি থুতু চাটব", চ্যালেঞ্জ মিঠুনের
অন্যদিকে ঘটনার (Tufanganj Incident) খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। একজন মহিলাকে কী করে চুলের মুঠি ধরে টেনে ওই পুলিশ আধিকারিক গাড়িতে তুললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এলাকার মানুষ। যদিও ইতিমধ্যেই সেই পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।