img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

ATM: এটিএম প্রতারণাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার পাঁচজন, উদ্ধার কোটি টাকা

ধৃত এক আইনজীবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল নগদ ২৫ লক্ষ টাকা

img

মূল অভিযুক্তসহ ধৃত পাঁচজন, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা (ইনসেটে) (নিজস্ব চিত্র)

  2023-05-15 15:42:05

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় এটিএমে (ATM) প্রতারণা করে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। তদন্তে নেমে আগেই পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এবার এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দীপঙ্কর মোদককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিবশঙ্কর ঠাকুর নামে এক আইনজীবীকে সোনারপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

ঠিক কীভাবে এটিএম (ATM) থেকে টাকা হাতিয়েছিল অভিযুক্তরা?

একদিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়াসহ একাধিক জায়গায় ২২টি এটিএমে কয়েক কোটি টাকা ভরার কথা ছিল। একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংস্থার কর্মী হিসেবে দীপঙ্কর মোদক, সঞ্জীব পাত্ররা এটিএমে (ATM) টাকা ভরার কাজ করছিল। নিয়ম মেনে তারা ১১টি এটিএমে টাকা ভরেছিল। বাকি ১১টি এটিএমে তারা আর টাকা ভরেনি বলে অভিযোগ। এমনকী এটিএমে টাকা ভরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল সবটাই তারা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার তারা হদিশ পাচ্ছিল না। ২ মে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। দীপঙ্করের মাধ্যমেই এটিএমগুলিতে টাকা ভরার কথা ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দীপঙ্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ৩ মে থেকে দীপঙ্কর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। পরিবারের লোকজনও তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দীপঙ্করের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয়। দীপঙ্করসহ কয়েকজনের নামে ৫ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তু দত্ত, সঞ্জিত সরকার এবং সঞ্জিত পাত্র। এদের মধ্যে সঞ্জিত পাত্র এটিএম (ATM) এ টাকা ভরার সংস্থায় কাজ করত। বাকিরা তার বন্ধু। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্ত দীপঙ্করকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় এক আইনজীবী জড়িত থাকার তথ্য পুলিশের হাতে আসে। ওই আইনজীবীর সঙ্গে ধৃতরা পরিকল্পনা করেই এই প্রতারণা করেছে।

কী বললেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা?

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) অরবিন্দ আনন্দ বলেন, এটিএমে (ATM) টাকা ভরার পরিবর্তে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় প্রথমে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পর সবমিলিয়ে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত আইনজীবীর বাড়ি থেকে ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকী টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আর কে জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Hooghly

police

ATM


আরও খবর


ছবিতে খবর