বড়দিনের সকালে দুর্গাপুরে মিষ্টির দোকানে কী হয়েছে জানেন?
মিষ্টির দোকান (বাঁদিকে), গোডাউন (ডানদিকে) (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দুর্গাপুরে (Durgapur) উৎসবের আবহে নেমে এল বিষাদের সুর। ঘুমের ঘোরে মিষ্টি তৈরির কারখানার ভিতরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দোকানের কারিগর ছিলেন। এছাড়া ৬ জন জখম হয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বি-জোনের উইলিয়াম কেরি মোড়ের সামনে একটি মিষ্টির দোকানে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অতনু রইদাস এবং বিধান বাউরি। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়।
ঠিক কী ঘটেছে? (Durgapur)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিষ্টির দোকানের পিছনে গোডাউন রয়েছে। সেখানে মিষ্টি তৈরি হয়। সেখানে আট কারিগর ও কর্মী রাতে ঘুমোছিলেন। ভোর রাতে এক কারিগরের ফোন পেয়ে দোকানের মালিক ছুটে আসেন। এরপরই সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার লিক, না মিষ্টির দোকানের উনুনের ভাটির গ্যাস থেকে এই বিপত্তি হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৬ জন কারিগর ও কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের দুর্গাপুরের শোভাপুরে একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলের বাড়ি বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এলাকায়।
দোকানের মালিকের নাম মিলন মণ্ডল। তিনি দোকানটি অন্য একজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। মিলনবাবু বলেন, দোকানের কারিগর ও কর্মীরা গোডাউনে প্রতিদিনের মতো শুয়ে থাকেন। আর শীতের কারণে দরজা, জানলা সবই বন্ধ ছিল। ঘরের মধ্যে কী হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। অসুস্থরা কিছুটা সুস্থ হলে বিষয়টি জানা যাবে। ভোরের দিকে অতনু নামে এক মিষ্টির কারিগর ফোন করে দুর্ঘটনার কথা বলেন। আমি শুনে সঙ্গে সঙ্গে দোকানে যাই। এসে দেখি সকলেই অচৈতন্য হয়ে রয়েছে। সকলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। রাস্তাতেই যে অতনু আমাকে ফোন করেছিলেন, তাঁর মৃত্যু হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।