img

Follow us on

Friday, Sep 27, 2024

Asansol: জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

আসানসোলে জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এ কী কাণ্ড!

img

এলাকায় উত্তেজনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ (সংগৃহীত ছবি)

  2024-01-27 12:01:36

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামে। পুলিশের নির্দেশে অনুষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Asansol)

আসানসোল (Asansol) পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামের ষোলোআনা কমিটি নামে স্থানীয় কমিটির উদ্যোগে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। এই কমিটির কর্মকর্তারা সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। আর এই কমিটিকে না জানিয়ে গ্রামের একটি অংশ সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারাও তৃণমূল সমর্থক। তারা কম্বল বিলির সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে পাশের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়ার বাবা রোহিত নুনিয়াকে। অথচ ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমিত মাঝিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রোহিতবাবুর বিরুদ্ধে পাশের ওয়ার্ডে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। এই দাবিতে ফতেপুর গ্রামের একটি অংশ এর আগে আন্দোলনও করেছিলেন। তাঁকে গ্রামে আমন্ত্রণ জানানোই তৃণমূলের অন্যপক্ষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজনার খবরের আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। তাই এই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রোহিত দলবল নিয়ে সকালে ঢুকে পড়ে গ্রামে। আর তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। গ্রামের এক পক্ষের অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে রোহিত নুনিয়াকে কেন আমন্ত্রণ করা হল? সেই নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যে জায়গায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে পতাকা স্তম্ভ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য একটি জায়গায়।  সেখানে পতাকা উত্তোলন করেন রোহিত নুনিয়া। কম্বল বিলি হয় গ্রামের বাইরে।

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুমিত মাঝি বলেন, রোহিত নুনিয়া একজন তোলাবাজ, জমি মাফিয়া। জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার তাঁর কাজ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামের ষোলোআনা কমিটি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর স্থানীয় কাউন্সিলর খুব ভাল ছেলে। প্রয়োজনে এই বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

tmc

Trinamool Congress

West Bengal

bangla news

Bengali news

TMC INNER CLASH

asansol

Republic Day


আরও খবর


ছবিতে খবর