Lynching: রাজ্যে ফের গণপ্রহার, এবার ঘটনাস্থল তমলুক, পুলিশ কী করছে?
তমলুক থানা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও শিশু চুরির ঘটনায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের (Tamluk) নিশ্চিন্তবসান গ্রাম। চোর সন্দেহে দুই মহিলা এবং এক শিশুকে পিছমোড়া করে বেঁধে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপালি বেরা নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে দুই অপরিচিত মহিলা ঢুকে চুরি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দীপালি বলেন, "সোমবার দুপুরে দুই মহিলা একটি বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ির সামনে আসে। এক জন শিশুটিকে নিয়ে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য মহিলা বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সে। চোখের সামনে দেখে আমি চিৎকার করি। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা আমার বাড়িতে ছুটে আসেন। সেই সময় অভিযুক্ত মহিলাকে ঘরের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এরপরই তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে আমার গয়নার ব্যাগ উদ্ধার হয়।" জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর গ্রামবাসীদের কয়েকজন দুই মহিলাসহ তিনজনকে পিছমোড়া করে বেঁধে বেধড়ক মারধর চলে। ওই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ। তারা দুই মহিলা-সহ শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মহিলার চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। বাড়ি থেকে অপরিচিত মহিলা দুজনকে দেখে আমরা চেপে ধরি। তাদের কাছে থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রী পাওয়া যায়। এরপরই উত্তেজিত হয়ে তাদের ওপর চড়াও (Lynching) হয় এলাকার লোকজন।
আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশের দায়িত্ব, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তেরা দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। তারা আর কোথাও এই ধরনের কাজ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর ওই দলে আর কোনও সদস্য রয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে পুলিশ খোঁজখবর চালাচ্ছে। আর কারা হামলা (Lynching) চালাল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।