img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

বাবা অরিন্দমবাবু অভিযোগ করেন, দাবার প্রশিক্ষণ ব্যাপক ব্যয়বহুল, অন্য রাজ্যে সরকারি অনুদান এলেও এরাজ্যে তা আসে না বললেই চলে

img

জলন্ধর থেকে ফিরেই দাবার বোর্ডে মন দিয়েছে মৃত্তিকা। নিজস্ব চিত্র

  2023-05-16 19:01:21

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবায় প্রশিক্ষণ শুরু সাত বছর বয়সে। বর্তমানে বয়স পনেরো। মাত্র আট বছরের প্রশিক্ষণে আটবারের বেশি জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে চুঁচুড়ার (Chinsurah) কাপাসডাঙার বাসিন্দা মৃত্তিকা মল্লিক। আগামী নভেম্বরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে সে। কিন্তু সরকারি কোনও অনুদান নেই বলে অভিযোগ করলেন বাবা।

কে মৃত্তিকা মল্লিক?

চুঁচুড়ার (Chinsurah) ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মৃত্তিকা। এবছর জলন্ধরে আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। এই মাসের ১ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষ করে বৃহস্পতিবার ঘরে ফিরেছে সে। এই সাফল্যের উপর ভর করে আগামী নভেম্বরে ইতালিতে আয়োজিত বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ করে নিয়েছে মৃত্তিকা। বাবা অরিন্দম পেশায় কেবল ব্যবসায়ী ও মা মীনাক্ষী গৃহবধূ। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মৃত্তিকা।

খেলার প্রতি আকর্ষণ কীভাবে?

ছোট থেকেই মৃত্তিকা নিজের পাড়ার (Chinsurah) কাকুদের তাস খেলা দেখতে ভালোবাসত। বুদ্ধিদীপ্ত খেলার প্রতি আকর্ষণ বুঝতে পেরেই ছোট মেয়েকে দাবার প্রশিক্ষণ শিবিরে ভর্তি করেন মৃত্তিকার বাবা-মা। শুরুতে মাত্র দু'বছরের প্রশিক্ষণ নিয়েই প্রথমবারের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায় মৃত্তিকা।

খেলায় সাফল্য

দেশীয় স্তরে তিনবার প্রথম হয়েছে মৃত্তিকা (Chinsurah)। ইতিমধ্যে তিনবার আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছে সে। তার মধ্যে এশিয়া যুব দাবা প্রতিযোগিতায় একবার করে রূপো ও ব্রোঞ্জ এবং অনূর্ধ্ব ১৪ বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করে। এরপর রয়েছে নভেম্বরে আরও কড়া চ্যালেঞ্জ। জলন্ধর থেকে ফিরেই তাই দাবার বোর্ডে মন দিয়েছে মৃত্তিকা। সামনের বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই দু'দিক সামলাতে চাপটাও অনেক বেশি। তবে আপাতত পড়াশোনা ঘণ্টা দু'য়েকই করতে পারছে সে। কারণ দিনের প্রায় ১৪ ঘণ্টা নতুন নতুন চাল খুঁজে বেড়ায় সে। যে করেই হোক ইতালিতে দেশের হয়ে বাজিমাত করাই এখন তার জীবনের লক্ষ্য।

অবিভাবকের আশা

বাবা অরিন্দমবাবু বলেন, মেয়ে আপাতত সপ্তাহে দু'দিন গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াইয়ের জন্য আরও প্রশিক্ষণের দরকার। আর দাবাতে এই প্রশিক্ষণই ব্যাপক ব্যয়বহুল। তাঁর অভিযোগ, অন্য রাজ্যে দাবায় সরকারি অনুদান এলেও এ রাজ্যে (Chinsurah) তা আসে না বললেই চলে। তাই বহু বাঙালির প্রতিভা মাঝপথে নষ্ট হয়ে যায়। এখন এই আর্থিক অভাব কাটাতে মল্লিকার পাশে সরকার কতটা দাঁড়ায়, সেটাই দেখার।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Chess

state government

administration

International Chess tournament


আরও খবর


ছবিতে খবর