মার্কশিট নিতে গেলে প্রত্যেককেই ২০০ টাকা দিতে হবে, কেন এমন কথা বলল স্কুল কর্তৃপক্ষ?
দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুল। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ টাকা না দিলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়া হচ্ছে না বলে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে। এর জেরে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মার্কশিট নিতে আসা ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্কুলে ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেে।
উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?
বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) শহরের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়া হচ্ছিল। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুলের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা করে চাঁদা না দিলে, মার্কশিট দেওয়া হচ্ছে না। তাদের আরও অভিযোগ, ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য গত বছরও ২০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা জমা করার রশিদও রয়েছে তাদের কাছে। প্রশ্ন এখানেই, দুবার কেন টাকা দিতে হবে? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর স্কুল কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলে অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। তাদের বক্তব্য, গতকাল একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যারা বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা দিতে ইচ্ছুক, তারাই টাকা দিয়ে মার্কশিট নিতে পারবে। অথচ মার্কশিট নিতে গেলে দেখা যায়, প্রত্যেককেই ২০০ টাকা দিতে হবে বলে জানানো হচ্ছে স্কুলের তরফে। পরীক্ষার আগে একবার ২০০ টাকা দেওয়ার পরেও আবার কেন টাকা চাওয়া হচ্ছে! পাশাপাশি নোটিশে বলা হয়নি যে, সবাইকেই টাকা দিতে হবে! যাদের সামর্থ্য আছে তারা দিচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু সবার আর্থিক অবস্থা তো সমান নয়। তাহলে এই নিয়ম সবার ওপর কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছে ছাত্রছাত্রীরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের (Uttar Dinajpur) প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টা ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে ভুল করেছে। অভিভাবকদের মিটিং-এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাথা পিছু ৪০০ টাকা করে নেওয়া হবে। কাউকেই জোর করা হয়নি। হয়তো তারা মিটিং-এ আসেনি, তাই বিষয়টা বুঝতে ভুল করছে। বিদ্যালয়ের তরফে কাউকে বাধ্য করা হয়নি যে টাকা দিতেই হবে। প্রধান শিক্ষক বলেন, যারা টাকা দিতে অসমর্থ, তাদেরও মার্কশিট দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠছে অনেক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।