সংহীর নাম সীতা, হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত? আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ...
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহীর নাম সীতা এবং সিংহের নাম আকবর, তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। হিন্দু ধর্মে রামচন্দ্র জায়া হলেন দেবী সীতা। সিংহীর নামকরণ দেবীর নামে কেন? এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ চলতি সপ্তাহের শুক্রবার সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Calcutta High Court) বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি রয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে দাখিল করা পিটিশনে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা থেকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে আনা হয় ওই সিংহ আকবর এবং সিংহীকে। ভিএইচপির অভিযোগ, জলপাইগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে (Calcutta High Court) ত্রিপুরা থেকে আনা সিংহীর নাম 'সীতা' রাখা হয়েছে। এতে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে। অবিলম্বে এই নাম পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি অন্য কোনও প্রাণীর নাম যাতে হিন্দু দেব-দেবীর নামে না হয়, তারও আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে।
ভিএইচপির আইনজীবী শুভঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘ত্রিপুরা থেকে যে সিংহ দু'টি আনা হয়েছে, তাদের সরকারি নথিতে নাম লেখা ছিল প্যানথেরা লিও মেল ও ফিমেল ৷ পাশাপাশি তাদের সিংহ ও সিংহী দু'টির আইডি নম্বরও দেওয়া ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসার পর বৈজ্ঞানিক নাম না দিয়ে সিংহ ও সিংহীর হাউজ নেম দেওয়া হয় আকবর ও সীতা। তাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের থেকে 'সীতা' নাম পরিবর্তন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা স্টেট জু অথরিটি এবং বেঙ্গল সাফারি ডিরেক্টরকে এই মামলার পার্টি করেছি।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা সিংহীর নাম রাখা হয়েছে সীতা। সিংহের নাম দেওয়া হয়েছে আকবর। সীতা নাম দেওয়ায় আমরা মনে করছি এতে আমাদের হিন্দু ধর্মের উপর আঘাত করা হয়েছে। এই নাম নিয়ে আমাদের তীব্র আপত্তি রয়েছে। তাই আমরা আদালতের দারস্থ হয়েছি।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।