কুপ্রস্তাব দেওয়ায়, বিভাগীয় প্রধান ও ভবনের অধ্যক্ষকেও লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন গবেষক ছাত্রী
শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক রাজর্ষি রায়। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শিরনামে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati ) বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রেফতার এক শিক্ষক, যিনি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক। গবেষণারত ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রয়েছে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করলেও পরে কোনও ব্যবস্থা না নিলে, থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন ওই গবেষক ছাত্রী। আর তারপরই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক রাজর্ষি রায়কে।
বিশ্বভারতী (Visva-Bharati ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে, গত ৩১ মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই বিভাগেরে এক গবেষক ছাত্রী৷ অভিযোগ ছিল, দিনের পর দিন তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন ওই অধ্যাপক। পাশাপাশি শ্লীলতাহানিও করেছেন তাঁর। প্রসঙ্গত, এর আগেও এই অধ্যপকের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ কমিটিতে ওই গবেষক ছাত্রী শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বলে জানা যায়। ২০১৬ সালে শিক্ষা বিভাগে গবেষণা শুধু করেন ওই ছাত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, সেই থেকেই শুরু হয় কুপ্রস্তাব দেওয়ার কাজ৷ গবেষণাপত্রে সাক্ষর করার নাম করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। এই মর্মে বিভাগীয় প্রধান ও ভবনের অধ্যক্ষকেও লিখিত ভাবে জানান ওই ছাত্রী গবেষক৷ কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
এরপরে গবেষক ছাত্রী শান্তিনিকেতন (Visva-Bharati ) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় মানষিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানি, কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করে গবেষক ছাত্রী৷ আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে এইদিন ওই অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করে ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ বি, ৩৫৪ ডি, ৫০৬, ৫০৯, ৩৭৬, ৫১১, ৫০০ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ৷ এইদিন অভিযুক্ত অধ্যাপককে বোলপুর আদালতে তোলা হয়। দুপক্ষের কথা শুনে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত অধ্যাপকের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বভারতীর কর্মী হিসাবে প্রেসের সামনে কিছু বলতে পারিনা, আপনারা আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ