কবে থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না, জানালেন হাসপাতালের সুপার
বালুরঘাট হাসপাতালের ছবি। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Balurghat Hospital) বন্ধ হয়ে রয়েছে ডায়ালিসিস পরিষেবা। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে টাকা খরচ করে করাতে হচ্ছে ডায়ালিসিস। আর এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। হাসপাতালের এই অব্যবস্থা দেখে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। অবশ্য হাসপাতালের তরফে দ্রুত ওই ডায়ালিসিস যন্ত্রগুলি সারাই করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই। তাই জেলা হাসপাতালই একমাত্র ভরসা। কিডনির সমস্যার কারণে এই হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ডায়ালিসিস পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি সেই যন্ত্রগুলিও অকেজো হয়ে পড়েছে।
জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের (Balurghat Hospital) তিনতলা ভবনে ডায়ালিসিস বিভাগ রয়েছে। সেখানে পাঁচটি বেড রয়েছে। পাঁচজনকে রেখে ডায়ালিসিস করা হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই পাঁচটি ডায়ালিসিস যন্ত্রের মধ্যে একসঙ্গে তিনটি অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এমনকী ডায়ালিসিসের রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্ল্যান্ট বিকল হয়ে থাকায়, রোগীর দেহ থেকে দূষিত তরল বের করতেও সমস্যা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে সবক’টি ডায়ালিসিস যন্ত্রই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনীর বাসিন্দা সিদ্দিক মণ্ডল বলেন, আমার স্ত্রীকে সপ্তাহে দু’দিন ডায়ালিসিস করাতে হয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতাল থেকে এই পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে আমরা মাঝেমধ্যেই এসে ঘুরে যাচ্ছি।
বিজেপির বিধায়ক অশোক লাহিড়ী বলেন, এই হাসপাতালে (Balurghat Hospital) কোনও চিকিৎসা পরিষেবা নেই। ডায়ালিসিস পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরেই বিকল হয়ে রয়েছে। রোগীরা এখান থেকে ফিরে যাচ্ছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, বালুরঘাটে ডায়ালিসিস পরিষেবা এমনিতে সচল রয়েছে। টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে সম্ভবত একটু সমস্যা হচ্ছে। বিধায়ক এই ধরনের কথা বলবেনই। তিনি এখানে থাকেন না, তাই না জেনেই সবটা বলে দেন।
এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের (Balurghat Hospital) সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেন, ডায়ালিসিস একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে পরিচালনা করা হয়। প্রায়ই যন্ত্রগুলি বিকল হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের গঙ্গারামপুরে পাঠাতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের জেলার কোনও রোগী যাতে হয়রানির মুখে না পড়েন, সেদিকেও আমরা নজর রেখেছি। ওই সংস্থাকে আমরা এই সমস্যাগুলি দ্রুত মেটাতে চিঠি দিয়েছি। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছি। তবে কবে থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।