মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল যাঁদের বিরুদ্ধে, সেরকম ১০২ জনের নিয়োগপত্র বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর ১৪ ডিসেম্বর যে রায় দিয়েছিল তার ভিত্তিতে পর্ষদ ১০২ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্ষদের
যে ১০২ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করা হয়েছে তাঁদের জায়গায় বুধবারই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে ৫১ জনকে। যাঁরা বঞ্চিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তেমন ৬৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকেই বুধবার নিয়োগপত্র নেবেন ৫১ জন। এমনটাই পর্ষদের তরফে জানানো হয়। কোন কোন শিক্ষককে হাইকোর্টের আদেশে চাকরি থেকে সরানো হয়েছিল সেই তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেই তালিকাতে শিক্ষকের নাম এবং ওই কোন বিষয়ে স্কুলে পড়াতেন, কবে থেকে তিনি এই স্কুল শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তার সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১০২ জনকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকা সম্ভব নয়, কারণ ওয়েটিং লিস্টে মাত্র ৬৫ জনের নাম আছে। আদালতের নির্দেশেই ১০২ জনের সুপারিশ বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁদের নিয়োগপত্রও বাতিল করা হল।
আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার
২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এসএসসি-র নবম-দশমে ওই নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় ৬৬৩ দিন ধরে আন্দোলনের পর অবশেষে চাকরি মিলছে বঞ্চিতদের। এত বছর পরে হলেও চাকরিটা তো পাচ্ছেন, এটাতেই খুশি তাঁরা। তবে দুর্নীতির কারণে যে এতগুলো বছর নষ্ট হল, সে কথা ভুলতে পারছেন না তাঁরা। শুধু নবম-দশম নয়, প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এমন অনেক নিয়োগ বাতিল হয়েছে আদালতের নির্দেশে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ অনেকে। প্রতিদিনই উঠে আসছে দুর্নীতির নানা ছবি। এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদের এই পদক্ষেপে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours