রাজ্য সরকারকে এই মর্মে নোটিশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কারণ জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শেষমেশ সেই নোটিশের জবাব দিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারকে এই মর্মে নোটিশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কারণ...
‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতা বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ৫ মে মুক্তি পায় ছবিটি। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। যার জেরে মুক্তির চার দিনের মাথায় ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। অভিযোগ, দ্য কেরালা স্টোরি সাম্প্রদায়িকতাকে উসকানি দিচ্ছে। অশান্তি এড়াতে ছবিটিকে (The Kerala Story) এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ছবির নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চান তাঁরা। মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। পশ্চিমবঙ্গে ছবিটির নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশেও এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ নয় কেন?’
আরও পড়ুুন: কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক কেন? প্রশ্ন তোলায় ভারতের নিশানায় রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক
তার পরেই রাজ্য সরকারকে নোটিশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এর আগেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ছবিটি (The Kerala Story) পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারের দাবি, মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্ট আবেদন করতে পারতেন, কারণ হাইকোর্টে এই সিনেমা সংক্রান্ত আরও চারটি মামলা হয়েছে। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করেন আইনজীবী আস্থা শর্মা। সেই হলফনামায় বলা হয়েছে, ওই ছবিতে এমন একাধিক দৃশ্য রয়েছে, যা ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। এদিন হলফনামায় ফের একবার গোয়েন্দা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, ৫ মে ৯০টি সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই রাজ্যের কাছে খবর আসে, অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরেই নিষিদ্ধ করা হয় ছবিটি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।