Jadavpur University: প্রযুক্তিই ভরসা! বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে ইসরো চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা রাজ্যপালের
বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে ইসরো চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা রাজ্যপালের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিং রুখতে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করার কথা ভাবছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। র্যাগিং মোকাবিলায় এ বার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।
রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে র্যাগিং থেকে মুক্ত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে ইসরো। রাজভবনের ওই সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, এদিন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে অনেকটা সময় ধরে আলোচনা করেছেন বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। কীভাবে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিকে র্যাগিং থেকে মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্যে। শুধু ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গেই নয়, এর পাশাপাশি হায়দরাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল বোস।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ভিডিও বিশ্লেষণ, ইমেজ ম্যাচিং স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য শনাক্তকরণ এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি র্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার
বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩। প্রথম দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সেই সাফল্যকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘সফ্ট ল্যান্ডিং’) কর্মসূচিতে ইসরোর সহযোগীর ভূমিকায় ছিল দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকার অন্যতম নাম যাদবপুর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।