পুরসভা সূত্রে খবর, এখানে প্রায় ২২০০ অস্থায়ী কর্মী! আর ন্যূনতম মজুরি মাথাপিছু ২৭০ টাকা
পুরসভায় চেয়ারম্যানের দফতরের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক সময়ে বেতন দিতে নাভিশ্বাস উঠছে। কোনও মাসেই নাকি সময়ে বেতন হয় না, এমনই জোরালো অভিযোগ ঘিরে তেড়েফুঁড়ে উঠলেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা। বুধবার একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখানোর পর বৃহস্পতিবারও পুরসভা চত্বরে চেয়ারম্যানের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বুধবার চেয়ারম্যান অমিত রায় পুরসভায় ঢুকতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হন। তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতিও হয়। আসলে বেতন ঠিক সময়ে হবে কী করে? প্রতিটি দফতরেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক নেওয়া হয়েছে (Municipality Corruption)। পুরসভার দেওয়ালে কান পাতলে এমনই অভিযোগ শোনা যায়।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, বাম আমল থেকে যেসব অস্থায়ী কর্মী এখানে কাজ করত, তাদের সরানো হয়নি। আবার জনসংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে কাজের চাপও বাড়ছে। তাই বাড়তি কিছু লোকও নিতে হয়েছে অস্থায়ী হিসেবে।"
পুরসভা সূত্রে খবর, এখানে প্রায় ২২০০ অস্থায়ী কর্মী (Municipality Corruption)! আর ন্যূনতম মজুরি মাথাপিছু ২৭০ টাকা প্রতিদিন। প্রায় ৬০০ জনের মজুরি রাজ্য পুর উন্নয়ন সংস্থা থেকে আসে। বাকি ওই বিপুল বোঝা পুরসভাকেই টানতে হয়। কিন্তু সেই অর্থে এই পুর এলাকায় কোনও শিল্প না থাকায় পুরকরও তেমন ওঠে না। তাই মাঝে মধ্যেই অনিয়মিত হয়ে পড়ে অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি।
বিরোধী দল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী কর্মীদের (Municipality Corruption) তৃণমূল আমলেই যে যেরকম পেরেছে ঢুকিয়ে গেছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, এদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল পার্টির ক্যাডার। অর্ধেক লোক কাজ করে না, বাড়িতে বসে সারা মাসের মজুরি তুলে নেয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। এখানে বেশিরভাগ চোর। আমরা চাইছি অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করিয়ে এখানে অ্যামিনিস্ট্রেটর বসানো হোক।
প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় বসেন চেয়ারম্যান অমিত রায়। আগামী সোমবারের মধ্যেই মজুরির বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এরপর অবস্থান ওঠে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।