ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের, নয়া নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সরগরম রাজ্য।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে এই প্রশ্ন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল শিক্ষকদের একাংশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েতে ভোটের কাজে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের ব্যবহার করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তা আশ্বাস দিলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব ছিলেন শিক্ষকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের প্রশ্ন, রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কি হবে? এই প্রশ্ন তুলেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষা অনুরাগী ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এই সংগঠনের ৮০০ সদস্য। পোলিং অফিসার হিসেবে থাকছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রত্যেকের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা ছড়িয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তাঁরা।
পঞ্চায়েত ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের। মঙ্গলবার এই মর্মে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি পাঠানো হয়েছে সব জেলার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদেরও। এর আগে পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। এই মামলায় কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ীই ভোটের কাজে স্থায়ী কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একান্তই প্রয়োজন দেখা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কাজে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুুন: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের
পঞ্চায়েতে মনোনয়ন নিয়ে ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজুর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ১২ জুলাই এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। সেই সঙ্গেই আদালতের নির্দেশ, মামলাকারী সিরাজুল বারুইপুরের এসপি'র কাছে নিরাপত্তার আবেদন করবেন। তাঁর বাড়ির সামনে দু'জন সশস্ত্র কনস্টেবল এক সপ্তাহের জন্যে পাহারায় থাকবেন। ১৩ থেকে ১৬ জুন ক্যানিংয়ের বিডিও অফিস, হসপিটাল মোড়-সহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। সিরাজুলের অভিযোগ, ১১ জুন নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বিডিও অফিসের সামনে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের মদতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।