এর আগে শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। যে মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই পাল্টা এই মামলা
কলকাতা হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের প্রথম সারির ১৭ জন নেতার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় সবরকম সহোযোগিতার আশ্বাস দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সিপিএমের দুই নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবং মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীরা জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁদের মক্কেলরা। কিন্তু তদন্ত করাতে হবে যে কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে। আইনজীবীরা এদিন স্পষ্টই জানান, মামলায় সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা। তবে মামলার নথি আদান প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় শুনানিপর্ব পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার ৩০ অগাস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এর আগে শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। যে মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই পাল্টা বিরোধীদের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জনৈক সুজিত গুপ্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নজরে রাখা উচিত। কারও কারও সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন মামলাকারী।
এই মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূলের কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। এছাড়া রয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামও। নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সিনহার (রাহুল সিনহা)। নাম রয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের।