img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

ED Arrests Businessman: ইডির জালে ‘ডাকু’-ঘনিষ্ঠ, মিলল হাওয়ালা যোগ! এর মাধ্যমেই কি টাকা-পাচার?

img

রেশনকাণ্ডে ধৃত বিশ্বজিৎ দাস। ছবি— সংগৃহীত।

  2024-02-14 12:39:55

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় (Ration Scam) আরও একজনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার সকালে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ‘ডাকু’ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে ইডি (ED Arrests Businessman)। এই নিয়ে রেশনকাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। এ বার শঙ্করের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে ধরল ইডি। 

রাতভর জেরার পর গ্রেফতার

মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ, সল্টলেকে বিশ্বজিতের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। একইসঙ্গে মেট্রোপলিটন এলাকায় তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট, বাগুইআটির অফিস-সহ ৬টি জায়গায় চলে তল্লাশি। তবে তখন ব্যবসায়ী কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিকেলে বিমানে কলকাতা পৌঁছলে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটক করেন ইডির গোয়েন্দারা (Ration Scam)। নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের দাবি, বিভ্রান্তিকর জবাব দিয়ে তদন্তকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছিলেন বিশ্বজিৎ। এমনকী তথ্য গোপন করেন তিনি। এর পরই, তদন্তে অসহযোগিতা এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকার জেরে এদিন সকালে গ্রেফতার (ED Arrests Businessman) করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। সেই সঙ্গে ধৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ হাওয়ালা-সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। 

কীভাবে হত টাকা-পাচার?

শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, মধ‌্যপ্রাচ‌্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে (Ration Scam)। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শঙ্কর আঢ‌্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ‌্যমে শঙ্করই বনগাঁ থেকে ওই সোনা কখনও ট্রেন, আবার কখনও বা সড়কপথে পাচার করতেন কলকাতায়। সেই সোনা তাঁরই এক আত্মীয়ের লোকজন কলকাতায় বসে নিতেন।

বিশ্বজিতের ভূমিকা ঠিক কী?

গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, শঙ্কর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের (ED Arrests Businessman) বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, সোনার ব্যবসা রয়েছে, এছাড়াও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সংস্থা রয়েছে। ইডির অভিযোগ, মোটা কমিশনের বিনিময়ে এই ব্যবসায়ী শংকর আঢ্যকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন। বিদেশি মুদ্রার সংস্থার মাধ্যমে শঙ্করের কালো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ভুয়ো আমদানি দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। জানা গিয়েছে, আজই বিশ্বজিৎ দাসকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করবে তারা (Ration Scam)।

 

"দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

West Bengal news

Madhyom

Kolkata news

bangla news

ed raid in kolkata

news in bengali

Ration Scam

bengal ration scam

ration distribution scam

ration scam ed raid

kolkata ration scam ed

sankar aide biswajit das

ration scam ed arrests businessman

ration scam biswajit hawala


আরও খবর


ছবিতে খবর