সোমবার ওই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন
ছবি প্রতীকী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট এবং সার্ভারে দেদার নম্বরের ফারাক রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়াতে চলেছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক। সোমবার ওই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করার কথা ঘোষণা করে এসএসসি।
দিন দু’য়েক আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশ বাতিল করে দিয়েছিল। গ্রুপ ডি-র পর এবার চাকরি বাতিল নবম-দশমের। নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা এর আগে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। এসএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬ সালের নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০৫ জনেরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল হওয়ার পথে। পর্যায়ক্রমে আরও অযোগ্য প্র্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল-৬: একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কমিশন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নবম- দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২০১৮ সালে মেধা তালিকা প্রকাশ করে চাকরির সুপারিশপত্র দেয় কমিশন। অভিযোগ, চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য ছিলেন না। প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছিল, ওএমআর শিটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওএমআর শিটে কেউ পেয়েছেন ৪, কেউ পেয়েছেন ২৬, অথচ তাঁদের সকলকে ৫৩ নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে।ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে এসএসসির পরীক্ষায় বসা ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে।
কমিশন নিয়োগ দুর্নীতির কথা স্বীকার করার পরেই হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, এসএসসি নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল করুক। এই প্রক্রিয়া ৭ দিনের মধ্যে শুরু করার নির্দেশও দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।