ঘটনার গভীরে ঢুকতে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমহর্ষক ঘটনা। এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। তন্ত্রসাধনার জন্য কাউকে ধরে নিয়ে এসে বলিকাঠে চড়ানো হচ্ছে, এমন হাড়হিম করা দৃশ্য বহু সিনেমাতেই দেখা যায়। কিন্তু তা বলে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজেরই ভাইঝিকে কেউ ধরে নিয়ে যেতে পারে, এ যেন কল্পনার অতীত। কিন্তু বাস্তবে তেমনটাই ঘটেছে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। তন্ত্রসাধনায় নরবলি দেওয়ার আগেই তারাপীঠ (Tarapith) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ন্যাসী মহিলাকে। আর তারপরই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বোলপুর থানা এবং বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের জালে সন্ন্যাসী মহিলা রেখা সরকার। ঘটনার গভীরে ঢুকতে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত।
দিন চারেক আগে বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত তাতারপুর কলোনি থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের তরফ থেকে বোলপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। বিশেষ টিমে ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের আধিকারিক সহ বোলপুর থানার পুলিশ অফিসাররা। নিখোঁজ নাবালিকার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনে নেওয়া হয়, তাদের কোথায় কোথায় আত্মীয়স্বজন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তারই দিদি রেখা সরকার তারাপীঠে থাকে বলে খোঁজ মেলে। শনিবার বীরভূম জেলা পুলিশের এই স্পেশাল টিম হানা দেয় তারাপীঠে (Tarapith)। প্রথমে রেখা সরকার নামে ওই মহিলা জানিয়ে দেয়, তার ভাইঝি তার কাছে আসেনি। সমগ্র ঘটনা এড়িয়ে যায়। পরে পুলিশ চাপ দিলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়।
এই পুরো ঘটনায় বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুরজিৎকুমার দে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, রেখা সরকার দীর্ঘদিন ধরে তন্ত্র সাধনার সঙ্গে যুক্ত। প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সম্পূর্ণ বিষয় অস্বীকার করে। পরবর্তী সময়ে তাকে চাপ দেওয়া হলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, তন্ত্রসাধনার কাজে তারাপীঠে (Tarapith) ওই নাবালিকাকে বলি দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছিল ধৃত রেখা। এই ঘটনার আরও গভীরে ঢুকতে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে বোলপুর থানার পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।