BJP Walk Out: ‘‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা, বাধ্য হয়েই ওয়াক আউট’’, আর কী বললেন শুভেন্দু?
শুক্রবার বিধানসভা বয়কট করল বিজেপি। সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, ভারতের মাটিতে স্বাধীনভাবে নিজের নিজের ধর্মচর্চা করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। সেই অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তরফে এটি করা হচ্ছে৷ শুক্রবার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার জন্য ওঠে। কিন্তু, আলোচনায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই প্রস্তাবটি পাঠ করার সুযোগ পাননি। এরপর হট্টোগোল শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা বয়কট (BJP Walk Out) করেন বিজেপির বিধায়করা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য়। এ ব্যাপারে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আলোচনা চেয়েছিলাম। অথচ অধ্যক্ষ নিজেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন। গরিষ্ঠতা, দম্ভ, অহঙ্কার দিয়ে বিধানসভার মধ্যেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওয়াকআউট।’’ এ ব্যাপারে অধ্যক্ষর প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। বুধবার রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা বয়কট করেছিলেন গেরুয়া বিধায়করা। আর শুক্রবার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মণ একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি
শুভেন্দুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে বজরংবলীর মূর্তি ও মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারেই আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ধারা বারেবারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, নোদাখালি, বেলডাঙা- বিশেষ সম্প্রদায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা তৈরি করছে। অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। অথচ রাজ্য এ বিষয়ে ব্যর্থ। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানালে তা খারিজ করা হয়।’’ শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘শতাংশের হিসেব দেখলে সবচেয়ে বেশি ভোট আমরা হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং জনজাতিদের পেয়েছি। আমরা যদি তাদের ধর্ম পালনে নিরাপত্তা দিতে না-পারি, তাদের কথা বিধানসভায় বলতে না-পারি, তাহলে কী মূল্য আছে আমাদের!’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।