তারামায়ের পায়ে নিবেদিত ফুল দিয়ে কী তৈরি হচ্ছে, জানেন কি?
তারাপীঠে তারামায়ের মন্দির। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে (Tarapith Temple) মায়ের পায়ে পড়ল ১০ কুইন্টাল ফুল। লক্ষ লক্ষ ভক্তের অর্পিত ফুল দিয়ে কী করা হবে! এই বিপুল পরিমাণ ফুলকে কি পুনরায় ব্যবহার করে, কোনও সামগ্রী প্রস্তুত করা যেতে পারে? সূত্রে জানা গেছে, মায়ের পায়ে অর্পিত ফুলকে আবর্জনা না ভেবে, তা দিয়ে প্রকৃতিবান্ধব সামগ্রী তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে মল্লারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরা টানা ৬৫ দিনের বিশেষ প্রক্রিয়ায়, কুইন্টাল প্রতি ফুল থেকে ২৫ কেজি করে জৈব সার তৈরি করবে বলে জানা গেছে। অভিনব এই উদ্যোগকে এলাকার মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আজ থেকে প্রায় ছ'বছর আগে এই তারামায়ের মন্দিরে (Tarapith Temple) জমা পড়া ফুলের ব্যবহার নিয়ে প্রকৃতিবান্ধব কিছু উৎপাদন করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই সময় রামপুরহাটের মহকুমা শাসক ছিলেন বিধান রায়। বর্তমানে তিনি বীরভূম জেলার জেলাশাসক হিসাবে কাজ করছেন। এই অভিনব ভাবনার উদ্যোক্তা ছিলেন তিনিই। সেই সময় মল্লারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঠাকুরের পায়ে নিবেদিত ৪০-৫০ কেজি ফুল সংগ্রহ করে। ফুলের মধ্য থেকে সুতো, আলতা, সিঁদুর আলাদা করে ফুলগুলিকে রোদে শুকানো হয়। এরপর টানা ৬৫ দিন ধরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জৈব সার তৈরি করা হয়। এবার কৌশিকী অমাবস্যায় মায়ের পায়ে দেওয়া ফুল গুলি থেকেও একই ভাবে জৈব সার প্রস্তুত করা হবে বলে জানা গেছে।
মল্লারপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধন সিংহ বলেন, “আমরা মন্দিরের (Tarapith Temple) ফুল থেকে জৈব সার প্রস্তুত করতে ন'জন কাজ করছি। এছাড়াও ফুল ঝাড়াই করতে আরও পাঁচজন মহিলা কাজ করে থাকেন। মায়ের মন্দির থেকে এই বিপুল পরিমাণ ফুল সরাতে সময় লেগেছিল তিন দিন। ফুল থেকে সার প্রস্তুত হতে সময় লাগবে প্রায় ৬৫ দিন। তবে এই সার আমরা মূলত বিক্রি করি চাষিদের কাছে। কিন্তু আমরা লাভ করি না। আমাদের খরচ হয় কেজি প্রতি ৫০ টাকা এবং বিক্রি করি ২০ টাকা কেজি দরে। চাষিদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া এবং পরিবেশ বান্ধব উৎপাদনের উপর জোর দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য”।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।