মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছেই শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ চাকরি প্রার্থীদের...
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারি (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল দক্ষিণ কলকাতার হাজরাতে। হঠাৎ করেই সেই আন্দোলনের ঢেউ এদিন পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির খুব কাছেই। সেখানে বিক্ষোভকারীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” এরই সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। চাকরিপ্রার্থীরা এদিন একটা দাবি বারবার জানাতে থাকেন যে অবিলম্বে আসন সংখ্যা আপডেট (Upper Primary) করে নিয়োগ করতে হবে তাঁদেরকে। তাঁরা এও বলতে থাকেন যে মুখ্যমন্ত্রী অনেক আশ্বাস দেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন না।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা ন্যায্য দাবি জানাতে এসেছেন, দশ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত। বিক্ষোভকারীদের এই কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালীঘাট চত্বর। শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে পুলিশ। এই ঘটনায় তুলে ধরছে পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব চিত্রকে এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ্য কর্মসংস্থানের (Upper Primary) বেহাল দশা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই বিক্ষোভ।
প্রসঙ্গত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারের চাকরি দাবিতে আন্দোলন করছেন আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা (Upper Primary)। শুক্রবার এই আন্দোলন পা দিয়েছে ৫৫৫ দিনে। এই দিনে হাজরায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী। তাঁরাই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে। অন্যদিকে বিকাশ ভবনের সামনেও এদিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন টেট পরীক্ষার্থীরা। একদিকে হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা রয়েছেন জেলে। তারই মাঝে এমন বিক্ষোভ চলছেই কলকাতায়। দিনকয়েক আগে মাথা মুণ্ডন করেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। বেশ ল্যাজে-গোবরে অবস্থা শাসক দলের। কোনও কোনও মহলের মতে এর প্রভাব পড়বে আগামী লোকসভার ভোটে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।