হুগলির চন্ডীতলায় এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার
সুকান্ত মজুমদার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ২৪০ আসন পাবে তৃণমূল। এবার নবজোয়ার কর্মসূচিতে, তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৪০টি আসন পাবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বাবু (Sukanta Majumdar) এ বিষয়ে বলেন, স্বপ্ন দেখতে মানা নেই। স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন, কিন্তু তাঁর সবকিছু ৪২০ এর আশেপাশে ঘুরছে, বিধানসভায় ২৪০ আসন জিততে হবে, এদিক ওদিক করে নিলে ওটা ৪২০ হয়ে যাবে। আবার লোকসভায় ৪০ আসন পাবেন বলছেন, ওখানে মাঝখানে একটা ২ বসালে ৪২০ হয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা, প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। চিটিংবাজি বোঝাতে এখন রসিকতার সুরে অনেকেই এই ধারার উদাহরণ দেন।
এদিন হুগলির চন্ডীতলায় বালুরঘাটে সাংসদ আরও বলেন, যে সারা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ এই দুই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাতেও মানুষ তৃণমূল ছেড়ে, দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কারণ মানুষ সম্মানের জন্য রাজনীতি করেন। তৃণমূলে থেকে কেউ চোর স্লোগান শুনতে চাইছে না। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের এই হিড়িক দেখা যাচ্ছে।
রাজ্যজুড়ে চলা কুড়মি আন্দোলনকে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি কটাক্ষ করে বলেছেন, এটি খলিস্তানপন্থী আন্দোলনের মতো। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দেবে এই কুড়মিরাই। কুড়মিরা তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে, বলেও জানা বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর আরও সংযোজন, তাঁদের মধ্যে কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তা নেই। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে দেখা গেছে সোনালী গুহকে। যিনি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁর প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন যে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি সক্রিয় বিজেপি করেন না, উনার ব্যাপারে দল আগামীতে সিদ্ধান্ত নেবেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।