Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

ভোট দিতে দিতেন না শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী, গর্জে উঠলেন সন্দেশখালির মহিলারা
Sandeshkhali_(27)
Sandeshkhali_(27)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় মহিলারা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে জনরোষ কমাতে গ্রামে অভিযোগপত্র জমা নেওয়ার জন্য পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকালে মিছিল করে শাহজাহান বাহিনীর অন্য সদস্য সিদ্দিক মোল্লা, সিরাজ মাস্টারদের গ্রেফতারের জানানোর জন্য অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা অভিযোগ না জানিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিন শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরই আন্দোলনকারীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। আবির খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা।

শাহজাহানের ফাঁসির দাবি উঠল! (Sandeshkhali)

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামের অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় য়ে তাণ্ডব চালিয়ে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহ জাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

ভোট দিতে দিত না শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী!

এই শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর দাপটের কারণে বছরের পর বছর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ৩ বছর, কেউ ১০ বছর আবার কেউ ১১ বছর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। কী হত ভোটের দিনগুলো এই সন্দেশখালিতে? মাঝেরপাড়ার এক মহিলার ভোটার বলেন, ভোটের দিন এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ভোটের ঘরের ভিতরে ঢুকতেই কাগজপত্র নিয়ে নখে কালি লাগিয়ে দিত শাহজাহানের লোকজন। এরপরই ভোটের কাগজটা হাত থেকে নিয়ে নিত ওরা। ইভিএমে বোতাম আর টিপতে পারতাম না। ওরা সব করত। আমরা কথা বলতে পারতাম না। তাঁরা বলছেন, যতদিন না শেখ শাহাজাহানকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁরা একটু ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান কেউ কেউ। পুকুরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, শাহজাহানের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভয় আছে। আমরা আজ আনন্দ করছি ঠিকই, কিন্তু এটা এখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারব না।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles