শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' ঘোষণা ইউনেস্কোর, খুশির হাওয়া
বিশ্বভারতী (সংগ্রীহিত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন স্থান, যার সাংস্কৃতিক-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বে বন্দিত হয়, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পায় সেই সমস্ত জায়গা। এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিল শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। বিশ্বভারতীও খুশির আনন্দে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
২০২১ সালে ইসিওএমওএসের এক প্রতিনিধি দল এসেছিল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীও ঘুরে দেখেছিল তারা। এই সফরের পর তারা একটি রিপোর্টও তৈরি করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ইউনেস্কোর এই অন্তর্ভূক্তি বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পাওয়ায় খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতন তথা বীরভূম জেলাজুড়ে। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে আপামর বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কোনওদিন যিনি শান্তিনিকেতনে পা রাখেননি, সেই বাঙালিও শান্তিনিকেতন নামে মোহিত হন। মনে মনে কল্পনার রঙে নিজের মতো করেই এঁকে নেন বিশ্বকবির শান্তিনিকেতনের ছবিখানি। সেই শান্তিনিকেতনের এ সম্মান নিঃসন্দেহে প্রত্যেক বাঙালির কাছে গর্বের। রবিবারই শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কোর। এক্স হ্যান্ডেলে সে কথা ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই ঘোষণার পরই উৎসবের আবহ শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। বিশ্বভারতীর এক পড়ুয়া বলেন, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ঘুরে গিয়েছেন তা শুনেছিলাম। কিন্তু, এবার সেই স্বীকৃতি মেলায় খুবই গর্বিত মনে হচ্ছে। এই আনন্দ উৎসবে শরিক হতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে।
রবিবার এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ছে। এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে 'বাঙালির গর্বের মুহূর্ত।' বিশ্বভারতীতে সোমবার আনন্দ উৎসব পালন হবে। সন্ধ্যা ৬টায় উপাসনা গৃহে তা পালিত হবে। জানা গিয়েছে, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের উপদেষ্টা সংস্থা ইসিওএমওএস বিভাগে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) নাম প্রস্তাব করে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্ৰী জি কিষেণ রেড্ডি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে তা জানিয়েছিলেন। এবার স্বীকৃতির সিলমোহর পড়ল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।