মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখ এড়িয়ে বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি করলেন সুকান্ত মজুমদার। বাজাকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। শেষমেশ বাবুঘাটে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গারতি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য কর্মী সমর্থক নেতৃত্বরা। আরতি করার পর সুকান্ত বলেন, “আমি বলেছিলাম পুজো করব, পুজো করেছি। পুলিশ আটকাতে পারেনি। আমারা ধর্মীয় অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি। সর্বত্র গঙ্গা এক। এখন পুলিশ চাইলেই আমায় গ্রেফতার করুক।”
গণতন্ত্র চায় না তৃণমূল
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, নতুন কিছু নয়। এই সরকার গণতন্ত্রকে রাখতে চায় না, তাদের মনোভাবেই স্পষ্ট। তারা চায় এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে, যেখানে তৃণমূলই শাসক, তৃণমূলই বিরোধী। নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে বোম নিয়ে। এই সরকার যতদিন থাকবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।” মঙ্গলবার গঙ্গার মঙ্গল চেয়ে গঙ্গা পুজোর অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, গঙ্গাসাগর মেলার আবহে বাবুঘাট এলাকায় ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ জড়ো হতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারেও তার অন্যথা হবে না। ফলে তার মাঝে বিজেপির প্রস্তাবিত কর্মসূচি আয়োজিত হলে শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হবে। সেনার তরফে আগেই অনুমতি পেয়েছিল বিজেপি। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় গঙ্গা চত্বর। বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরের সামনে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বাজা কদমতলায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশবাহিনী। সে দিকে না গিয়ে সুকান্ত পায়ে হেঁটে চলে যান বাবুঘাটে। সেখানেই সারলেন গঙ্গা আরতি।
আরও পড়ুন: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ
এরপর বাবুঘাট থেকে পায়ে হেঁটে বাজা কদমতলার দিকে এগোতে থাকেন সুকান্ত। ততক্ষণে দলের কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশকে আটক করে পুলিশ। সুকান্ত তখন সেই প্রিজন ভ্যানের সামনে বসে পড়েন। সেখানে পুলিশের সাথে তর্ক বিতর্ক ধ্বস্তাধ্বস্তির পর সুকান্তকেও আটক করে পুলিশ। তখন বাধা দিতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে। এরপর বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়। প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। সুকান্ত-সহ সবাইকে গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার রাতে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপ থেকে ছাড়া হয় প্রত্যেককে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের গঙ্গারতি কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থক এবং আমাকেও চরম হেনস্থা করা হয়। "
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours