মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছে। তাপস সাহাকে সিবিআই জেরা করেছে। যদিও সিবিআই ফিরে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়। এই প্রসঙ্গে রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে এসে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুর্নীতিতে শুধু তাপস সাহাই নয় তৃণমূলের এমন কোনও বিধায়ক নেই যে নিজের প্যাডে লিখে চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি। আজ না হয় কাল সেই চিঠি সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছাবে। সমস্ত চিঠি নিয়ে ১৪ তলায় একটি কম্পিউটারে কমপাইলেশন করা হয়েছিল। আমরা সেই নামটাও জানি। রাজনীতির যারা খবর রাখেন, তাঁরাও সেই নামটা জানেন। এই মাথারাও ধরা পড়বে। আর সিবিআই চলে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মাংস ভাত খাওয়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাগল বলি হওয়ার আগে প্রচুর শাকপাতা খায়। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের যাত্রায় বাঁচবেন কিনা গ্যারান্টি নেই। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে, এই বুঝি সিবিআই খপাৎ করে ধরল। এই ভয়ে ভয়ে থাকুন কিছুদিন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রাকে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে, উত্তরপাড়া পার্টি অফিসেও তিনি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিষেকের আগামী জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, নজর ঘোরানো তো বটেই, তার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়, বাংলার জনগণকে তিনি চেনেনও না, জানেনও না। প্যারাসুট নিয়ে নেমেছেন। বাংলার মাটি কি, কোনওদিন দেখেননি। গ্রামেও যাননি, এখন যাচ্ছেন। এই জনসংযোগ যাত্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাস ভাড়া হবে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল হবে, তাঁবু হবে। ফাইভ স্টার তাঁবু হবে। তাঁর এইসব কর্মকান্ড দেখে লিবিয়ার বেদুইন নেতা মহম্মদ গদ্দাফির কথা মনে পড়ছে। গদ্দাফি একসময় এরকম তাঁবু করে গ্রামে গঞ্জে থাকতেন। কারণ, তিনি হোটেলে থাকতে পারতেন না, যেহেতু বেদুইন ছিলেন। যাক নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে বাংলায়।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours