মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ নির্মিত মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট "সুখোই ৩০-এমকেআই" হল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান স্তম্ভ। আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য এই বিমানের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ৪০টি সুখোই-৩০ এম কে আই-এর আধুনিকীকরণ করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রহ্মোস ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সেক্ষেত্রে ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর আধুনিকীকরণও জরুরি। সেই পরিকল্পনা নিয়েই চলছে বায়ুসেনা।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে আরেকটা করোনার প্রকোপ? সতর্কতা জারি করল ‘হু’
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর বেশ কিছু অংশকে আরও শক্ত করতে হবে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই কাজ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে করবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। ইতিমধ্যেই ৩৫ টি ফাইটার জেটের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২০ থেকে ২৫ টি ফাইটার জেট উন্নত করা হবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা চতুর্থ প্রজন্মর যুদ্ধবিমান হল এই সুখোই-৩০। এর আধুনিকীকরণ করা হলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা এশিয়াতে এটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় পূর্বতন শাসকদের দুষলেন মোদি
প্রধানত এয়ার-টু-এয়ার সুপিরিওরিটি যুদ্ধবিমান হল সুখোই-৩০। অর্থাৎ, মাঝ-আকাশে ডগ-ফাইটে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এই বিমান শত্রুর কোনও সামরিক ঘাঁটি বা ভূমিতে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। সুখোইয়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২ হাজার ১২০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ টেক-অফ লিফ্ট ৩৮ হাজার ৮০০ কেজি। বিভিন্ন ধরনের বম্ব, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সুখোই। মোট বহন ক্ষমতা প্রায় ৮ হাজার কেজি। দুই আসন বিশিষ্ট, দুই ইঞ্জিনের সুখোইতে রয়েছে একটি ৩০এমএম বন্দুক। মাঝারি পাল্লার গাইডেড এয়ার-টু-এয়ার, ইনফ্রারেড হোমিং স্বল্প পাল্লার মিসাইল সহ একাধিক ক্ষপণাস্ত্র বহন করতে পারে সুখোই। পারমাণবিক অস্ত্রবহন করতেও সক্ষম সুখোই-৩০। এবার এই বিমানে বিশ্বের একমাত্র সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের এয়ার-ভার্সান অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। একবার তা সম্পন্ন হলে, সুখোই-৩০ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours