মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পত্তি কর বৃদ্ধি নিয়ে বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছিল। এবার তা সংঘাতের আকার নিল। সম্পত্তি কর ইস্যুতে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। কোনও আবেদন, নিবেদন নয়, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল তারা বর্ধিত সম্পত্তি করের টাকা দিতে পারবে না। বর্তমানে যে এক লক্ষ ১৫ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তিকর দেন তাই দেবে, তার বেশি এক টাকাও তারা দেবে না। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও মমতা কানসেকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী নিয়ে বিরোধ?
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর সম্পত্তি কর ধার্য হয়। তিন বছর আগে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সম্পত্তি কর ছিল ৭৫ হাজার টাকা। তা বেড়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার করা হয়েছিল। বছরে কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই করই দিত। এবার সেই সম্পত্তি কর ৭০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। এক ধাক্কায় ৭০ লক্ষ টাকা করে প্রতি বছর সম্পত্তি কর দিতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে নতুন সম্পত্তি কর বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর তা দেখেই মাথায় হাত কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কী বললেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ?
ব্যারাকপুর (Barrackpore) রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ মনোজিৎ রায় বলেন, গত চার বছরে কলেজ বিল্ডিং একটুও বাড়ানো হয়নি। কিছু মেন্টেনেন্স এর কাজ করা হয়েছিল। রং করা হয়েছে। আমরা উচ্চ শিক্ষা প্রদান করি। আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানে সম্পত্তি কর ধার্য করা উচিত্ নয়। তবুও, ধার্য করা হলে তার একটি নিয়ম থাকা দরকার। তাই সম্পত্তিকর কখনও এক ধাক্কায় বেড়ে ৭০ লক্ষ ৫১ হাজার ৮৫০ টাকা হতে পারে না। বর্তমানে যে টাকা সম্পত্তিকর দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকাই দেওয়া হবে। বাড়তি কোনও টাকা দিতে পারবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত সম্পত্তিকর দিতে হলে আমাদের তা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেই নিতে হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর তো আমাদের তা দেবে না। ফলে সাড়ে সত্তর লক্ষ টাকা কিছুতেই দেওয়া সম্ভব নয়।
কী বললেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আধিকারিক?
কয়েকদিন আগেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ৭০ গুণ সম্পত্তিকর বৃদ্ধি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ উষ্মা প্রকাশ করতেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের তরফে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ল্য অফিসার দীপক রজ্জক জানান, অধ্যক্ষর সঙ্গে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে আলোচনা হবে। তখন কমিয়ে দেওয়া হবে। একটি নিয়ম মেনে সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন হয়েছিল। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে বার্ষিক প্রস্তাবিত সম্পত্তিকর ধার্য হয়েছে। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours