Suvendu Adhikari: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

ভোট লুঠ করে ২০১৮ সালে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তার জবাব দেওয়ার পালা।
mamata-suvendu
mamata-suvendu

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর। শুক্রবার রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ দিন প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু কড়া হুঁশিয়ারির সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। এ দিন রানাঘাটের ফ্রেন্ডস ক্লাব ময়দানে সভা করে বিজেপি। সেখানে শুভেন্দু দাবি করেন, “দল একটা দায়িত্ব দিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে। হারিয়েছি। আর একটা কাজ বাকি আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। সে কাজটা আমি করব। আপনাদের নিয়েই করব।”

অভিষেকের পাল্টা সভা

শুক্রবার রানাঘাটে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। পরে একই দিনে সেখানে পাল্টা সভা করেন শিশির পূত্র শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। নদিয়ার মতুয়া গড় রানাঘাটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ভোট লুঠ করে ২০১৮ সালে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তার জবাব দেওয়ার পালা। এদিন শুভেন্দু বলেন, "বাংলায় দুর্নীতির সরকার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার নাম বদলে দুর্নীতি করেছে, একশো দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে। এখন বলছে একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। আমি আর আমাদের রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি, যে অবৈধভাবে টাকা নেবে তাঁর টাকা ফেরত নিয়ে ছাড়ব।"

আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

আসল চোর

এদিনও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মূল নিশানায় ছিলেন মমতা। এ দিন তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসল চোর কোথায় বসে আছে? চোদ্দো তলায় (নবান্ন)। টেনে নামাতে হবে।’’ একই সঙ্গে নদিয়ার সভা থেকে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বড় ডাকাত, যাঁকে আমি ‘হালি নেতা’ বলি, তিনি যার আলোকে আলোকিত তাকে শুভেন্দু অধিকারী হারিয়েছে। এখানে এসে বলছে, প্রধান চোর?” কাঁথির মতো এখানেও ‘পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি’ স্লোগান দিয়ে দুর্নীতির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে শুভেন্দু বলেন, “হাওয়াই চটিকে ধরতে হবে। রানি মৌমাছি নিজে মধু সংগ্রহ করে না। শ্রমিক মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে আর রানি মৌমাছি সেই মধু উপভোগ করে।’

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles