Suvendu Adhikari: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: মঙ্গলবার সকাল ৮ টা নাগাদ নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু ও সেখানে পৌঁছে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
Suvendu_(2)
Suvendu_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ নন্দীগ্রাম দিবস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতা-নেত্রীর আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। এখানে সবার অধিকার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে।" নন্দীগ্রাম দিবসে ফের একবার নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে অস্বীকার করলেন বিরোধী দলনেতা। "তৃণমূল এই এলাকা, শহিদ দিবস দখল করার চেষ্টা করেছিল। সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব। আগামী বছর ভাইপো ভিতরে থাকবে।" গোকুলনগরে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর।

নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী

আজ সকাল সকাল নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)৷ মঙ্গলবার সকাল ৮ টা নাগাদ নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু৷ প্রথমে তিনি গোকুলনগর অধিকারী পাড়ায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ এরপরে ভাঙ্গাবেড়া শহিদ মিনারে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পুলিশের গুলিতে নন্দীগ্রামে ১৩ জন কৃষক-সহ মোট ১৪ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়৷ বামশাসনকালে এই জমি আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম শরিক ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু৷ বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৈরি হয়েছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি, যাঁর অন্যতম প্রধান ছিলেন আজকের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শাসকদলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

আদালতের নির্দেশ মত নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ দিবস পালন করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে নন্দীগ্রাম দিবস পালনের মাঝে তাঁর হুঁশিয়ারি, “পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংস। এমনিতেও ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বাকি যা আছে, সাফ করব। শহিদ বেদিকে সামনে রেখে বলে গেলাম, সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি ভাইপোকেও একেবারে গ্যারাজ করব। আগামী বছর দেখা হবে, ভাইপো বাইরে থাকবে নাকি ভিতরে থাকবে? ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ দেখা হবে। যারা যা যা করছে চন্দ্রগুপ্তর ডাইরিতে লেখা থাকল। লক্ষণ শেঠদের অবস্থা যা হয়েছে, আপনাদের অবস্থাও ভবিষ্যতে তাই হবে'”

এরপরই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজনৈতিক দল, পথ পরিবর্তন সকলেই করতে পারে। আর তৃণমূল আমাকে যে সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছিল, তা কার্যত বাধ্য হয়েছিল দিতে। আমি কিন্তু সব ছেড়ে স্বাধীন পথ ও স্বাধীন মত নিয়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমাকে নিয়ে ওদের খুব গায়ে জ্বালা। তবে রোদ হোক বা ঝড়-জল, করোনা হোক বা অন্যকিছু প্রত্যেক বছর শহিদদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এবারে বাইরের লোক ঢুকিয়ে শহিদদের সম্মান জানানোর সুযোগটাও কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশ এমনটা করছিল। তাই হাইকোর্টের নির্দেশে সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে এসে আমাদের শ্রদ্ধা-সম্মান জানাতে হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান পর্ব আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, সকাল ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে সভা শেষ করতে হবে শুভেন্দুকে৷ সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যে জায়গা খালি করে দিতে হবে। আবার আদালতের নির্দেশ, বেলা ১১ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রামে মিছিল করতে পারবে৷ পৃথক রাজনৈতিক দলকে সময় ভাগ করে মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট৷

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles