Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।
suvendu-4
suvendu-4

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’ পার্থ কী বলবেন, সেটা বুধবার আলিপুর জেলের সুপারের কেবিনে বসে ঠিক হয় বলেও দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।

শুভেন্দু যা বললেন

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’

যুক্ত জেল সুপারও

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে এক জন মহিলা আইনজীবী ছিলেন। সেই কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আনা হয়েছিল। বিকেল ৪টে থেকে সওয়া ৪টের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।’’ এখানেই না থেমে চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেও বলেছিলাম। একটা ফাঁকা কাগজও যদি দেখাতে পারেন, তা হলে মেনে নেব। ২০১৬ সাল থেকে আমি বিধায়ক। তার আগে সাংসদ ছিলাম। এই সময় কালে তাঁর কাছ থেকে চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। এই লোকটাকে আমি ঘৃণা করি। কারণ, তিনি দুশ্চরিত্র, লম্পট, দুর্নীতিপরায়ণ। আর এই সবের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই চিত্রনাট্য ১৮ মিনিটের ব্যবধানে যাঁরা টুইট করেছেন এবং বলেছেন তাঁরা দু’জনেই ‘জেলখাটা’। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে কুণাল টুইট করেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’ এর পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আদালত চত্বরে মন্তব্য করেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles