Suvendu Adhikar: অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

বহিরাগত হয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছেন মমতা, দাবি দিলীপের
amartya
amartya

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাগজগুলি দেখিয়েছেন, তা ভুয়ো।’’ এই প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এই জন্য রাজ্য সরকারকে সবাই ভুয়ো বলছে।’’

শুভেন্দু-মমতা তরজা

জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘাত চরমে উঠেছে। এই সময়ে বীরভূম সফরে গিয়ে প্রথমে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী।  তারপর তিনি বলেন, ‘‘যে জমিটা লিজে দেওয়া হয়েছিল তা ১.৩৮৮ একর। আর ওরা বলছে ১.২৫ একর। ‘এল আর’ রেকর্ড বলছে, ১.৩৮ একর। তাই অমর্ত্য সেন ঠিক বলছেন। ১৯৫৬ সালের ‘আরএস’ রিপোর্টেও একই তথ্য রয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ওই সরকারি নথি ‘ভুয়ো’ বলে বৃহস্পতিবার দাবি করলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লিজ জমি হস্তান্তরযোগ্য নয়। লিজটা ছিল স্বর্গীয় আশুতোষ সেনের (অমর্ত্য সেনের বাবা)। তিনি মারা যাওয়ার পর লিজ খতম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাগজগুলি দেখিয়েছেন, সেগুলি ভুয়ো। এই জন্য রাজ্য সরকারকে সবাই ভুয়ো বলছে।’’ 

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

জমি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী যে নথি দেখিয়েছেন তা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে আগেই দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এক্ষেত্রে বিশ্বভারতীতে গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। ট্যুইটারে বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি লিখেছেন, ‘‘ওয়াশিং পাউডার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধুয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী। এত অপমানিত আগে কখনও হননি। বহিরাগত হয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছেন। অনাহুত হয়ে গিয়েছেন ওখানে। জমি মাফিয়াদের বাঁচাতে বীরভূমে গিয়েছেন তিনি।’’

বিশ্বভারতী-রাজ্য সম্পর্ক

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে তার আচার্য। দেশের রাষ্ট্রপতি হলেন পদাধিকার বলে পরিদর্শক। অতীতে বাংলায় যখন বামফ্রন্ট সরকার চলছে, তখন পদাধিকার বলে বিশ্বভারতীর আচার্য কখনও ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বা মনমোহন সিং। আচার্য হিসাবে বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীও। কিন্তু দিল্লির শাসকের স্নেহ ও আচ্ছাদন নিয়ে বাংলায় বাম সরকারের সঙ্গে বিবাদ বা এ ধরনের বাকযুদ্ধে কখনও জড়াতে দেখা যায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বর্তমান সরকারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বেড়েছে বিশ্বভারতীর।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles