মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার দাপট কাটতে না কাটতেই ভয় দেখাতে শুরু করেছে যক্ষ্মা (Tuberculosis)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, ২০২১ সালে ভারতে ২১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২০-র তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। হু জানিয়েছে, ২০২১ সালে গোটা দেশে ২২ কোটির বেশি মানুষ যক্ষ্মা পরীক্ষা করিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভালো।
যক্ষ্মা রোগের শনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসায় করোনার প্রভাব সংক্রান্ত বিশ্বব্যাপী একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হু। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারতে মোট জনসংখ্য়ার প্রতি ১ লক্ষের মধ্যে ২১০ জনের যক্ষ্মা ধরা পড়েছে। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রতি ১ লক্ষে ২৫৬ জন। ১৮ শতাংশ কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: এক কোটি টাকা ব্যাংকে থাকলেই ইন্দোনেশিয়ায় দশ বছর কাজ করার সুযোগ
যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কোন দেশে বেশি, কোন দেশে কম সেই তালিকা প্রকাশ করেছে হু। বেশি থেকে কমের তালিকায় ৩৬তম স্থানে রয়েছে ভারত। হু- এর তরফে জানানো হয়েছে, করোনা কালে যক্ষ্মার চিকিৎসায় প্রভাব পড়েছে গোট বিশ্বে। তবে ভারত তুলনামূলক ভালো ভাবে কাজ করেছে বলেও জানিয়েছে হু। হু- এর ,মতে সচেতনতার কারনেই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে এই রোগ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বহু বছর ধরে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। যক্ষ্মার রোগীকে শনাক্ত করা, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছে সরকার। আর তাতেই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে এই রোগ।
কেন্দ্রীয় সরকারও যক্ষ্মা সংক্রান্ত নিজস্ব পরিসংখ্যান তৈরি করছে। বিশেষ পদ্ধতিতে তাতে যক্ষ্মা রোগের শনাক্তকরণ, রোগীর আয়ু সংক্রান্ত বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ছ'মাসের মধ্যে প্রকাশিত হবে সেই রিপোর্ট। হু-কেও সেই তথ্য প্রদান করবে কেন্দ্র। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী টিবি মুক্ত ভারত অভিযান প্রকল্পের সূচনা করেছে কেন্দ্র। তাতে বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদানও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৪৫ হাজাপ ২৬৯ রোগীর সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন ৪০ হাজার ৪৯২ জন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours