মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teachers’ Day)। আজকের দিনে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ( Sarvepalli Radhakrishnan) জন্মদিনও, আর এই দিনটিকেই শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কারণ শিক্ষার জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
আজকের এই দিনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কারণ শিক্ষকরা শুধু শিক্ষা দানই করেন না, জীবনের প্রথম শিক্ষার আলো যেন তাঁদের হাত ধরেই পড়ুয়াদের জীবনে আসে। এছাড়াও তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে পথ চলতে শেখান, প্রতিটি পদক্ষেপে সাহস দেন। একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে শিক্ষকদের অবদান কখনও ভোলার নয়। তাই এই দিনটিকে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য উৎসর্গ করা হয়।
তবে তাঁর জন্মদিনকে কেন শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়, এর কারণ জানেন কী?
শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসাই বারবার টেনে নিয়ে গেছে বিশ্বের নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তিনি একজন নিষ্টাবান শিক্ষক ছিলেন তো বটেই এবং তিনি যখন রাষ্ট্রপতি হন তখন তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা তাঁর জন্মদিন পালন করার অনুমতি চাইলে তিনি তাঁর জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করার কথা বলেন। এরপর ১৯৬২ সাল থেকেই ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ডঃ রাধাকৃষ্ণনের সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নিন
- ডঃ রাধাকৃষ্ণণ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ সালে তামিলনাড়ুর তিরুত্তানি শহরের একটি তেলেগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পড়াশোনা শুরু করেন তিরুপতির একটি স্কুলে এরপর ভেলোরে চলে যান।
- এরপর তিনি মাদ্রাজের খ্রিস্টান কলেজে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁকে আজ পর্যন্ত ভারতের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক বলে মনে করা হয়।
- ডক্টর রাধাকৃষ্ণণ তাঁর ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর, তিনি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে দর্শনের অধ্যাপক হন এবং তারপর মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক হন।
- ডঃ রাধাকৃষ্ণণ ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।
- তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে Reign of Religion in Contemporary Philosophy, Philosophy of Rabindranath Tagore, The Hindu View of Life, Kalki or the Future of Civilisation, An Idealist View of Life, The Religion We Need, India and China, and Gautama the Buddha.
+ There are no comments
Add yours