মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে বিক্ষোভ চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের (TET Agitation)। সোমবার দুপুর থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের এখন একটাই কথা, ‘সরকার চাকরি দিক নয়তো লাশ তুলে নিয়ে যাক।’ আমরণ অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার থেকে চলছে অনশন (TET Hunger Strike)। জল, খাবার ছুঁচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের তিনদিন হতে চললে, এখনও সরকার থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বিক্ষোভকারীরা এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
আজ, বুধবার থেকে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন (TET Agitation) আরও চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের দাবি করার পাশাপাশি তাঁরা ওএমআর শিট সামনে আনার দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে পর্ষদ রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। আবার রাজ্য সরকার বল ঠেলছে আদালতের দিকে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে, ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছে তাঁরা। তারপরেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। টানা ৮ বছর ধরে তাঁরা অপেক্ষা করেছেন। তাঁদের নিয়োগ না করেই নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন:‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের
টেট উত্তীর্ণরা আরও দাবি করেছেন, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে চান না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। এমনকী দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। অথচ তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র আসেনি। ফলে তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। আর চাকরি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, চাকরি নেই কেন তা আদালতের কাছে জিজ্ঞেস করতে। ফলে টেট উত্তীর্ণরা আন্দোলনে অনড় হয়ে রয়েছেন। আর তাঁরা চাকরি না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবি অনায্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও, প্যানেলভূক্ত হননি ২০১৪- এর এই চাকরিপ্রার্থীরা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েও কিছু করার নেই আমাদের। বয়সের ঊর্ধ্বসীমার সিদ্ধান্ত সরকারের। এর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।'
এদিকে নতুন করে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অনেক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরেও আন্দোলনে (TET Agitation) অনড় রয়েছেন তাঁরা। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
+ There are no comments
Add yours