TET Agitation: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।
tet_police
tet_police

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি করুণাময়ীতে (Tet Agitation)। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সক্রিয়তাও বেড়েছিল। টেট উত্তীর্ণদের বলপ্রয়োগ করে জোর করে তুলে নেওয়া হল। সোমবার থেকে চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ৷ আমরণ অনশনও শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷ তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শুরু হল পুলিশি অভিযান৷ কাউকে চ্যাংদোলা, কাউকে রাস্তার উপর দিয়ে টেনে, হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যান এবং বাসে তুলল পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল সল্টলেকের করুণাময়ী সহ পুরো রাজ্য। ফলে মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (TET Protest by BJP)। বিজেপির তরফে বেলা ১টার সময় হেডকোয়ার্টারে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।

গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদ চত্বের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এরপরেই বাড়তে থাকে পুলিশের সক্রিয়তা। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে অনশন স্থলে। আন্দোলনকারীদের সরাতে প্রচুর পুলিশ জমায়েত হতে থাকে। এরপর আন্দোলনকারীদের জমায়েতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় প্রথমে। তারপর তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয় দুই মিনিট। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি ও আন্দোলনে অনড় থাকে। ফলে আন্দোলনকারীরা না সরলে কার্যত তাঁদের জোর করে টেনে-হিঁচড়ে জায়গা থেকে সরানো হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার ২০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷

আরও পড়ুন: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

জানা গিয়েছে, ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণরা প্রায় ৯০ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন ও আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। ফলে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত-অবসন্ন ছিলনে। সেসময় হঠাৎ করে পুলিশ এসে ১৪৪ ধারার কথা জানালে তাঁরা আন্দোলনে অনড় থাকে। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। এর ফলে প্রায় কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁদের ওপর জোর খাটিয়ে কাউকে চ্যাংদোলা করে, কাউকে টানতে টানতেই প্রিজন ভ্যানে তুললেন। এরপরে মধ্যরাতে ২০১৭-র চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও তুলে দেয় পুলিশ। প্রথমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের আলোচনা চলে কয়েক মিনিট। তার পরে সেখানেও গায়ের জোর প্রয়োগ করেই তোলা হয় সবাইকে। ফলে মাঝরাতে পুলিশের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে রাতে এমন রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হলে পৌঁছে যান বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন বিজেপি-র প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, অগ্নিমিত্রা পালরা। শুক্রবার থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং বামেরাও আন্দোলনে নামার ঘোষণা করেছে রাতেই। তাই শুক্রবার থেকে এই ঘটনা কোন নতুন দিকে মোড় নেবে সেটাই এখন দেখার।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles