মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়ক দিয়ে সোঁ সোঁ করে একের পর এক গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। বাস ভর্তি যাত্রী। রাত হয়ে যাওয়ায় বাসের ভিতরে থাকা লাইট নেভানো ছিল। অনেক যাত্রী বাসের মধ্যে ঘুমোতে শুরু করেছিলেন। অন্ধকার বাসের মধ্যে আগুনের ঝলকানি দেখে যাত্রীরা বিশ্বাস করতে পারেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাউ দাউ করে বাসের ইঞ্জিন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন কলকাতা-ওড়িশাগামী একটি বাসের যাত্রীরা। আর ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের (Kharagpur) কাছে মাদপুর।
ঠিক কী ঘটেছিল? (Kharagpur)
স্থানীয় ও দমকল সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ কলকাতার বাবুঘাট থেকে রওনা দেয় বাসটি। গন্তব্য ওড়িশার পারাদ্বীপ। কিন্তু রাত ৯টা নাগাদ বাসটি যখন খড়্গপুর (Kharagpur) গ্রামীণ থানার মাদপুর এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন। প্রচুর পণ্যও ছিল। অন্যদিকে, ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার পর বাসের চালক চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আর বাসের দরজা বন্ধ ছিল। কোনও রকমে দরজা খুলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন যাত্রীরা। বেশ কয়েকজন যাত্রী জখম হন।
জখম যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, চলন্ত বাসের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। আর ভিতরে থাকা যাত্রীরা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন। বাস চলছিল বলে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। চোখের সামনে দেখি, কয়েক জন যাত্রী ওই বাসের জানলার কাচ ভেঙে লাফ দেন নীচে। কয়েক জন দরজা দিয়ে লাফ দেন। জখম এক যাত্রী বক্তব্য, গাড়ির চালক এবং কন্ডাক্টর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফলে, আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। অনেকে জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন। আমি কোনওরকমে দরজা খুলে লাফ মেরে রক্ষা পায়।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?
জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, বাস যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকল আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। বাস কর্মীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours