মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম-এ ভর্তি হলেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্যের মন্ত্রীর নেই হার্টের সমস্যা, অথচ ভর্তি কার্ডিওলজি বিভাগে। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, এটা রাজনৈতিক অসুখ। এদিনই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘এসএসকেএম একটা ঘুঘুর বাসা। সব নেতা ওখানে যেতে চান। ওখানে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। রাজ্য সরকারের মন মোতাবেক সব কিছু হয়। প্রথম থেকেই সবাই ওখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জানিনা কোর্ট কেন অনুমতি দিচ্ছে। ইডি-সিবিআই আটকানোর চেষ্টা করে হয়তো সফল হয়নি। ওখানে গিয়ে ওরা একটা মৃত সঞ্জীবনী পায়। হয় জামিন হবে, নাহলে সুস্থ হবেন। অসুস্থ কেউ নয়। আরাম করার ভালো ব্যবস্থা।’’
দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আশ্রয়স্থল এসএসকেএম
এসএসকেএম যেন সিবিআই-ইডির (Ration Scam) হাত থেকে বাঁচার একটা বড় আস্তানা হয়ে উঠেছে। এখন নয়, ১০ বছর আগেই সারদাকাণ্ডে সমন পেয়ে মদন মিত্র শুরু করেছিলেন। এর পরবর্তীকালে একই ধারা বজায় রাখেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে সোজা পাঠানো হয় ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে। সেখানে অবশ্য চিকিৎসকরা তাঁকে ফিট সার্টিফিকেট দেন। এরপরে ইডি তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। আবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাইপাস সার্জারি করে ভর্তি হন এসএসকেএম-এ।
কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে বালু
রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য কার্ডিওলজি বিভাগের (Ration Scam) পাঁচ নম্বর কেবিনে বর্তমানে রয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন কার্ডিওলজি বিভাগে, অথচ তিনি হার্টের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নেই। নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে চিকিৎসা করছেন বলে জানা গিয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসার জন্য যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে সেখানেও কার্ডিওলজি বিভাগের কোনও চিকিৎসক নেই বলে জানা গিয়েছে। এসএসকেএম-এ আসার পরেই ইমার্জেন্সিতে আড়াই ঘণ্টা ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন বালু। এই সময়ের মধ্যেই তাঁকে একাধিক পরীক্ষা করানো হয়। দেখে যান কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেন, বুকে সেরকম কোনও সমস্যা নেই মন্ত্রীর। তাঁদের পরেই আসেন নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। এরপরই ঠিক হয় মন্ত্রীকে নিউরোলজি মেডিসিনের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা হবে।
হাসপাতালে ইডি
বুধবারই হাসপাতালে আসেন ইডি আধিকারিকরা। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তার ঠিক দু'ঘণ্টা আগেও হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে দেখা গিয়েছে ইডি আধিকারিকদের (Ration Scam)। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইডি অফিসাররা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভর্তি হওয়া মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই হাসপাতালে এসেছেন ইডি-এর অফিসাররা। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শারীরিক অবস্থা জানতেও হাসপাতালে আসতে পারেন ইডি গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট কালীঘাটের কাকু ভর্তি হন এসএসকেএম-এ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours